গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। শনিবার (১০ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫২ হাজার ৮১০ জনে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ নগরীতে আহতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৩ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কারণ অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।

আরো পড়ুন:

গাজায় ওয়াশিংটনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন প্রতিষ্ঠার আলোচনা শুরু

গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই হামলায় প্রায় ১২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় বিমান হামলা ও পরে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। 

দীর্ঘ ১৫ মাস ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

অব্যাহত হামলার পাশাপাশি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক অবরোধ আরোপ করেছে, যার ফলে এর জনসংখ্যা, বিশেষ করে উত্তর গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, দীর্ঘ এ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে মানবিক সংকটে দিন পার করছেন ফিলিস্তিনিরা। খাবার, পানি, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অভাবে উপত্যকাটির ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা চরম ক্ষুধা ও ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জানুয়ারিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তেল আবিবকে গণহত্যা বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে রায় উপেক্ষা করে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৯, আহত ৪০০

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০০ জন। প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে। হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রামাল্লার কাফর মালেক এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় অন্তত তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকজন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। সেদিন দুই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাসের যোদ্ধারা।

আরও পড়ুনমধ্যপ্রাচ্য আর হয়তো ইসরায়েলের ছকে চলবে না৯ ঘণ্টা আগে

জবাবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৬ হাজার ১৫৬ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী-শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ।

আরও পড়ুনগাজায় নিহত ৫৬ হাজার ছাড়াল ২৪ জুন ২০২৫আরও পড়ুনগাজায় ইসরায়েলের ৭ সেনাসদস্য নিহত২১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্লাস্টিকখেকো ছত্রাক
  • ছাত্র-জনতার ক্ষোভ ও গণপ্রতিরোধকে ‘মব’ বলা ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র: হেফাজতে ইসলাম
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মর‌ণ: এবি পার্টির ৩৬ দি‌নের কর্মসূচি
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শুধু ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৭২
  • মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে সংঘাত ছড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েল
  • জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবি
  • গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭৯, আহত ৪০০
  • নির্বাচনের আগেই শাপলা-জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচার চায় হেফাজত
  • নির্বাচনের আগেই শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার বিচার চায় হেফাজতে ইসলাম
  • নির্বাচনের আগেই শাপলা-জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে: হেফাজত