র্যাব পুনর্গঠন হচ্ছে, উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিটি
Published: 12th, May 2025 GMT
এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পুনর্গঠন পুনর্গঠন করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য একজন উপদেষ্টার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। র্যাব পুনর্গঠন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। র্যাব পুনর্গঠন কিভাবে হবে, এটা এ নামে থাকবে কিনা, এই ফোর্স থাকবে কিনা, কিভাবে অর্গানাইজ করা হবে-সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এজন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আবদুল হামিদের দেশত্যাগ
দায়ীদের শাস্তি পেতেই হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, “জেনারেল হাফিজের নেতৃত্বে একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সদস্য করে দেওয়া হয়েছে কমিটিতে। পাঁচ সদস্যের কমিটি থাকবে। প্রয়োজনে এতে কো-অপ্ট করতে পারবে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.
পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না
এখন থেকে পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশের হাতে যাতে আর কোনো মারণাস্ত্র না থাকে। এগুলো তাদের জমা দিতে হবে। কোনো মারণাস্ত্র পুলিশের হাতে থাকবে না। অস্ত্র থাকবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যদের হাতে। তাদের কাজ কিন্তু অন্য পুলিশের থেকে একটু ভিন্ন।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সারাদেশে ৩৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী
সারাদেশে গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৩৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ২৬টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭০টি গোলাবারুদ, ১১টি ককটেল, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মালপত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ থেকে ২৬ জুন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটগুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্রধারী, চোরাকারবারি, কিশোর গ্যাং সদস্য, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী, অবৈধ দখলদার, ডাকাত, টিসিবির পণ্য আত্মসাৎকারী, অবৈধ রিক্রুটমেন্টের সঙ্গে জড়িত দালাল, ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের ব্যবসায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী, মব ভায়োলেন্স সৃষ্টিকারী, মাদক কারবারি ও মাদকাসক্তসহ মোট ৩৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা হচ্ছে।