বকেয়া পাওনার দাবিতে শ্রম ভবনের সামনে টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকেরা
Published: 12th, May 2025 GMT
বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আবারও রাস্তায় নেমেছেন গাজীপুরের টিএনজেড গ্রুপের আট কারখানার শ্রমিকেরা। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকার শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করবেন তাঁরা।
টিএনজেড গ্রুপের ৮টি কারখানায় কর্মরত ৫ হাজার ২১৯ জন শ্রমিক ও কর্মচারীর মোট বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও ভাতা মিলিয়ে প্রায় ৫৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানান, ঈদুল ফিতরের আগে তাঁরা সাত দিন ধরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। ওই সময় শ্রম মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেড, অ্যাপারেল প্লাস ইকো, বেসিক ক্লদিং লিমিটেড, বেসিক নিটওয়্যার লিমিটেড ও অ্যাপারেল আর্ট লিমিটেডের শ্রমিকদের ঈদ উদযাপনের জন্য বকেয়া বেতন পরিশোধে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়। আশ্বাস দেওয়া হয় তিন কোটি টাকা পরিশোধের। শেষ পর্যন্ত ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। যাঁরা ওই সময় বকেয়া বাবদ এই অর্থ পেয়েছেন, তাঁরা জনপ্রতি ৯ হাজার ১০০ টাকা পান। আবার অনেক শ্রমিক কোনো অর্থ পাননি। আজকের কর্মসূচিতে অ্যাপারেল প্লাস ইকো, টিএনজেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেল আর্টসহ মোট আটটি কারখানার সহস্রাধিক শ্রমিক অংশ নেন। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পুলিশের নিরাপত্তায় মিছিলটি বিজয়নগর থেকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে টিএনজেড অ্যাপারেলসের শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বহুবার আলোচনায় বসেছি। আর আলোচনায় বসতে চাই না। আমরা চাই, মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা নিক। সেটি না হলে আগামীকাল থেকে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
সমাবেশে গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, তিন মাস ধরে শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন। কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। এখন আর শ্রমিকের দোষারোপ না করে রাষ্ট্রকে দায় নিতে হবে।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আক্তারের সভাপতিত্বে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ৭ মে সব শ্রমিক ও কর্মচারীর বকেয়া বেতন–ভাতা পরিশোধ করা হবে। তবে শ্রমিকদের অভিযোগ, ৭ মে তাঁরা কারখানার সামনে উপস্থিত হলেও কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। পরে বকেয়া বেতন–ভাতার দাবিতে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে পুলিশ তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এতে ২০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হন। তাই শ্রম ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র স মন ট এনজ ড পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত