রাজশাহীতে বিএসসি ও ডিপ্লোমা নার্সদের সংঘর্ষ তদন্তে কমিটি
Published: 15th, May 2025 GMT
রাজশাহীতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা নার্স ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা.
বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দাবি নিয়ে আলাদা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এক সভায় যান রামেক হাসপাতালের কয়েকজন ডিপ্লোমা নার্স ও নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্র্থীদের সঙ্গে মারামারি হয়। দুপক্ষের হামলা, পাল্টা হামলা ও মারধরে ১০ জন আহত হন। এ সংঘর্ষের পর বুধবার (১৪ মে) অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুলনা অঞ্চলে গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্য চেয়ে কমিশনের গণবিজ্ঞপ্তি
তবে রাজশাহী নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাননি। তাদের দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তারা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা রামেক হাসপাতালে কর্মরত হামলাকারী ডিপ্লোমা নার্সদের শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে বিএসসি ইন নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে নার্সরা দাবি করেন, গত মঙ্গলবার রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে ডিপ্লোমা নার্স ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তারাও এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ন র স সদস য ব এসস তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫