সোনাদিয়ায় তিনটি চিংড়িঘেরের স্থাপনা উচ্ছেদ, অক্ষত বেড়িবাঁধ
Published: 16th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালীর প্ররিবেশ সংকটাপন্ন সোনাদিয়া দ্বীপে অভিযান চালিয়ে প্যারাবন ধ্বংস করে নির্মিত তিনটি চিংড়িঘেরের অস্থায়ী স্থাপনা ( ঘর-গুদাম) গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। তবে কাটা হয়নি ঘেরের বাঁধ। দখলদারদের কাউকে আটকও করা হয়নি।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্যাহ প্যারাবন ধ্বংসের চিত্র দেখতে সোনাদিয়ায় যান। তাঁর সঙ্গে অভিযানে অংশ নেন পুলিশ, বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে প্যারাবনের গাছপালা ধ্বংস করে চিংড়িঘের নির্মাণ এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া গাছপালা দেখতে পান দলের সদস্যরা। এ সময় তিনটি চিংড়িঘেরের অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর শেষ পৃষ্টায় ‘ প্যারাবন পুড়িয়ে নতুন চিংড়িঘের’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংকটাপন্ন সোনাদিয়া দ্বীপে নতুন করে অন্তত এক হাজার একরের প্যারাবনের কেওড়া ও বাইনগাছ ধ্বংস করে তৈরি হয়েছে সাতটি চিংড়িঘের। এবার প্রকাশ্যে পেট্রল ঢেলে গাছপালা পুড়িয়ে এসব ঘের করা হয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩ হাজার একরের বেশি প্যারাবন ধ্বংস করে সেখানে নির্মিত হয়েছিল ৩৭টি চিংড়িঘের। এসব ঘের উচ্ছেদ করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও গত ছয় মাসে তা কার্যকর হয়নি। এখন চিংড়িঘেরের সংখ্যা ৪৪।
সোনাদিয়া থেকে ফিরে আজ বিকেলে ইউএনও মো.
দখলদারদের কেউ ধরা না পড়ার কারণ জানতে চাইলে ইউএনও মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, আজকের অভিযানে তিনটি চিংড়িঘেরের অস্থায়ীভাবে তৈরি বেশ কিছু স্থাপনা ( ঘর-গুদাম) গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে নামার পর ঘেরের দখলদার ও শ্রমিকেরা পালিয়ে পাশের প্যারাবনে আত্মগোপন করেন। এ কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ সময় গাছ কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তা ছাড়া দুটি চিংড়িঘেরে পানি চলাচলের স্লুইসগেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগুন দিয়ে প্যারাবন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বন বিভাগকে বলা হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া মহেশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমিত বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপে কী পরিমাণ ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়েছে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। প্যারাবন দখল করে চারদিকে বেড়িবাঁধ দিয়ে চিংড়িঘের নির্মাণের পর ভেতরের গাছপালা রাতের আঁধারে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে।
চিংড়িঘেরের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্যারাবনের গাছপালা। পুড়ে গেছে ঘাসও। আজ দুপুরে কক্সবাজারের প্রতিবেশ সংকটাপন্ন দ্বীপ সোনাদিয়ায়উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প য র বন র ধ ব স কর দখলদ র
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা
রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ১৮ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এ বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ৭৫ লাখ ৯৭ হাজার ২২৫ টাকা, বাজেটে উদ্বৃত্ত ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪ হাজার ৭৭৫ টাকা।
রবিবার (২৯ জুন) বিকালে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ বাজেট ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও সাইফুল ইসলাম বলেন, “এই বাজেট প্রণয়নে আমাদের লক্ষ্য ছিল উন্নয়ন ও সেবার সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং কৃষিখাতসহ প্রতিটি সেক্টরে সমান গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবভিত্তিক বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। রূপগঞ্জের জনগণের অংশগ্রহণে এ বাজেট কার্যকর ও জনমুখী হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
বাজেট অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি, পূর্বাচল রাজস্ব) তাসবির হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাসুদ রানা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাজেটের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমে বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপগঞ্জকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে মতামত দেন।