ইউক্রেনের মতো গাজার পাশেও ইউরোপের দাঁড়ানো উচিত: ম্যাক্রোঁ
Published: 17th, May 2025 GMT
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গতকাল শুক্রবার আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় নেতাদের এক সভায় বলেছেন, তাদের গাজাকে সমর্থন করা উচিত, ঠিক যেমন তারা ইউক্রেনকে সহায়তা করছেন।
সভায় ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “মানবতার বেশিরভাগ অংশ আমাদের দেখছে। কখনো কখনো তারা আসলে বুঝতে পারে না যে, আমরা ইউক্রেন সম্পর্কে কী করছি, তবে আমাদের ব্যাখ্যা করতে হবে।” খবর আল জাজিরার।
ম্যাক্রোঁ আরো বলেন, “আমরা যখন গাজা সম্পর্কে নীরব থাকি, তখন তারা ইউক্রেন সম্পর্কে আমাদের মোটেও বোঝে না। তারা আমাদের বলে: ‘এটা অদ্ভুত। যখন আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ করা হয় তখন আপনি আমাদের বলেন যে, আমাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে এবং যখন গণহত্যা হয় তখন আপনি চোখ বন্ধ করে রাখেন।”
আরো পড়ুন:
গাজা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯০০ ছাড়াল
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি কোনো তুলনা করছি না। আমি গল্পগুলো জানি। কিন্তু আমি সত্যিই আমাদের সম্মিলিতভাবে জাগিয়ে তুলতে চাই যে, এই বিষয়ে আমাদের সমন্বয় থাকা উচিত।”
ম্যাক্রোঁ আলবেনিয়ায় ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সংবাদিকদের জানান, গাজার মানবিক সংকট অগ্রহণযোগ্য। তিনি শিগগির ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান।
ম্যাক্রোঁ বলেন, “গাজার মানবিক পরিস্থিতি অসহনীয়। মানবিক সংকটের দিক থেকে আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি, যা আমরা এর শুরু থেকে আগে কখনো দেখিনি।”
ম্যাক্রোঁ জানান, আলোচনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’