আইপিএলের এবারের আসরের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। গতকাল শনিবার (১৭ মে) রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। তাতে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার শেষ আশাটিও নিভে যায়। তবে শুধুমাত্র এই ম্যাচের ফলাফল নয়, পুরো মৌসুমজুড়েই কেকেআরের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। চলুন চ্যাম্পিয়নদের পতনের পেছনের কারণগুলো জানার চেষ্টা করা যাক।

অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাটিং লাইনআপ:
কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপ মৌসুমজুড়ে ছিল অস্থির। উইকেটে গিয়ে স্থায়ী জুটি গড়তে ব্যর্থ হন ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং ও রামানদীপ সিং প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি। রাসেল ৮ ম্যাচে মাত্র ৫৫ রান করেন, যা তার মানের খেলোয়াড়ের নামের পাশে সত্যিই বেমানান।

বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব:
বোলিং বিভাগেও কেকেআর ছিল অনিয়মিত। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলাররা উইকেট নিতে ব্যর্থ হন। ফলে প্রতিপক্ষ দলগুলো বড় স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বোলিংয়ে কেকেআরের দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরো পড়ুন:

কোহলির দশম শ্রেণির মার্কশিট ভাইরাল

জাবি ও ঢাবির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ

দল নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত:
মৌসুম শুরুর আগে দল গঠনে কেকেআরের কিছু সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। শ্রেয়াস আইয়ারকে ছেড়ে দেওয়া এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দলকে ভুগিয়েছে। শ্রেয়াস আইয়ার পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ৪০৫ রান করলেও কেকেআরের মিডল অর্ডার ছিল দুর্বল।

অভিজ্ঞদের ব্যর্থতা:
দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেননি। যা দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে।

বৃষ্টির কারণে শেষ সুযোগ হারানো:
আরসিবির বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় কেকেআর ১ পয়েন্ট পায়, যা প্লে-অফে ওঠার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই ম্যাচে জয় পেলে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা টিকে থাকত। কিন্তু প্রকৃতির বাধায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হলো।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রফরম য ন স ক ক আর র আইয় র

এছাড়াও পড়ুন:

অনূর্ধ্ব-২৩ ক্যাম্পে প্রবাসীদের ডাকবে বাফুফে

প্রথমবারের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিশেষ ট্রায়াল। তিনদিনব্যাপী এই ট্রায়াল শেষ হয়েছে গতকাল। আজ দুপুরে বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এই ট্রায়ালের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে আগামী অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্পে ডাকা হতে পারে কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলারকে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রায়াল বিচারক প্যানেলের সদস্য সাইফুল বারী টিটু। তিনিই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে ট্রায়ালে কে কে টিকেছেন সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট নাম প্রকাশ করেননি তিনি। জানিয়েছেন, সবকিছু বিশ্লেষণের পর প্রয়োজন অনুযায়ী খেলোয়াড় বাছাই করা হবে।

টিটু বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি। যাদের বয়স ১৮-১৯, তাদের উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। সামনে যখন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প হবে, তখন আমরা এই ট্রায়ালের তথ্য ও ভিডিও দেখে সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

তিনি আরও জানান, ট্রায়ালে আসা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হবে। বিশেষ করে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতির জন্য জুলাইয়ের শেষদিকে যেই ক্যাম্প শুরু হবে, সেখানেই দেখা যেতে পারে এই প্রবাসীদের কারও কারও মুখ।

টিটুর ভাষ্য, ‘কেবল বিদেশি হাইপ থাকলেই হবে না, দেশি প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে হবে। আমরা কোনো খেলোয়াড়কেই অবিচারে বাদ দিতে চাই না। যারা নিজেদের খরচে ট্রায়ালে এসেছে, তাদের পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

যদিও এখনই জাতীয় দলের জন্য উপযুক্ত কেউ আছেন কিনা সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি টিটু, তবে তিনি আশাবাদী অনূর্ধ্ব-২৩ দলে কিছু প্রবাসী ফুটবলার জায়গা করে নেবেন।

ট্রায়ালে গোল করে আলোচনায় প্রবাসী ফুটবলার বিতোশক চাকমা। তার খেলা প্রসঙ্গে টিটুর মূল্যায়ন, ‘বিতোশোকের টেকনিক, বল কন্ট্রোল এবং দৌড়ানোর দক্ষতা প্রশংসনীয়। তবে প্রকৃত মূল্যায়ন তখনই হবে যখন তারা ক্যাম্পে নিয়মিত ট্রেনিংয়ে অংশ নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন যাত্রায় মিরাজের যত চ্যালেঞ্জ
  • কেমন অধিনায়ক হবেন মিরাজ?
  • অপেক্ষার অবসান, নাকি আরও বাড়বে?
  • অনূর্ধ্ব-২৩ ক্যাম্পে প্রবাসীদের ডাকবে বাফুফে