প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একটা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ৪ মাস পর বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়ার চাকরি ফিরায়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে সরকারের সমালোচনার নজরদারি ও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রথা বন্ধ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান তিনি।

রোববার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে এ দাবি জানান এই নির্মাতা। পোস্ট আশফাক নিপুন লিখেছেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একটা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ার ৪ মাস পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে। অন্যদিকে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে লেখা এক পোস্টে দু:খিত রিয়্যাক্ট দেওয়ায় শোকজ করা হইছে একই মন্ত্রণালয়ের ৫ জন কর্মচারীকে। অবিশ্বাস্য!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আপনারা গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের ফলে প্রাপ্ত নাগরিক সরকার। প্রধান উপদেষ্টা প্রায়শই তার বক্তৃতায় বলেন, মন খুলে সরকারের সমালোচনা করতে। নাগরিকদের সমালোচনা করার জায়গা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে যদি শিক্ষক বরখাস্ত হন আর নির্দোষ রিয়্যাক্ট দিতে গিয়ে কর্মকর্তা শোকজ নোটিশ খান তাহলে দ্বিচারিতার এরচেয়ে বড় উদাহরণ আর হইতে পারে না।’

ফেসবুকে সমালোচনা করার কারণে শাস্তি দেওয়া সংস্কারের কোন পর্যায়েই পড়ে না বলে মনে করেন আশফাক নিপুন। তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুকে সমালোচনা করার অপরাধে শাস্তি দেওয়া সংস্কারের কোন পর্যায়েই পড়ে না। বরং শেখ হাসিনার আমলে শুরু হওয়া এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে শাস্তির সংস্কার হতে পারে সব ধরণের সমালোচনাকে আমলে নেওয়া, সহ্য করা, নাগরিকের ক্ষোভ, বেদনা বোঝা, তাকে নিরাপত্তা দেয়া এবং প্রয়োজনে আইন সংস্কার করা।’

সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘অবিলম্বে শিক্ষক বসুনিয়ার চাকরি ফিরায়ে দেন। এবং যে সকল মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরণের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হইছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন। সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার, প্রাপ্ত কোন দয়াদাক্ষিণ্য না।’

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন দেশেও অনেক তারকাশিল্পী। কেউ রাজপথে, আবার কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলেছেন তাদের পক্ষে। নির্মাতা আশফাক নিপুনও ছিলেন এই দলে। রাজপথে নেমেছিলেন। পট পরিবর্তনের পর এখনও সরব তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আশফ ক ন প ন আশফ ক ন প ন উপদ ষ ট ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোড এখন ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ফারহান ফাইয়াজের নামে সড়কের ফলক উন্মোচন করল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ শনিবার ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডে সড়কের নামকরণ করেন ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া। এ সময় শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। 

২০২৪ সালের ১৮ জুলাই ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোডে রাপা প্লাজা এবং জেনেটিক প্লাজার মাঝামাঝি স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মোহাম্মদ ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়া (ফারহান ফাইয়াজ) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।

সড়কের ফলক উন্মোচন শেষে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান বলেন, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের মেধাবী ছাত্র শহীদ ফারহান ফাইয়াজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এখানে শহীদ হন। বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যেসব ছাত্র-জনতা শাহাদত বরণ করেছেন ফারহান ফাইয়াজ তাদের মধ্যে অন্যতম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর সড়কটির নাম পরিবর্তন করে আজ শহীদ ফারহান ফাইয়াজের নামে নামকৃত ফলক উন্মোচন করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা বৈষম্যবিরোধী একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে মহৎ উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছেন, সে মহৎ উদ্দেশ্য যতদিন না বাস্তবায়ন হয় ততদিন আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একমাত্র ছেলে শহীদ হওয়ায় আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। ফাইয়াজের নামে এই সড়কটি নামকরণ করায় আমি অন্তর্বর্তী সরকার ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন পর্যায়ক্রমে তাদের সবাইকে স্মরণীয় করে রাখা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অতিথিরা নামকৃত ফলক উন্মোচন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের জন্য আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। 


ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং সব বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীর ডাকে নারীর সমাবেশ
  • ‘অপশক্তিকে রুখে না দিলে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট হবে’ 
  • স্বাস্থ্য কমিশনের প্রতিবেদনে নতুন কোনো দিকনির্দেশনা পাইনি: ফরহাদ মজহার
  • জুলাই অভ্যুত্থান দীর্ঘ লড়াইয়ের ফসল: ফরহাদ মজহার
  • উদীচীর সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি
  • ধানমন্ডির পুরাতন ২৭ নম্বর রোড এখন ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ’ সড়ক
  • পাকিস্তান থেকে যেন পণ্য না আসে, কড়া নজরদারি ভারতের
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত ৭৯ জন পেলেন অনুদানের চেক
  • পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ