বেশিদূর গেল না বাংলাদেশের ইনিংস, জবাব দিচ্ছে প্রোটিয়ারাও
Published: 21st, May 2025 GMT
স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি গড়ার সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি বাংলাদেশের ইনিংস।
চট্টগ্রামের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০৮ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে বুধবার (২১ মে) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ৩ উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জর্জ মার্টিনিউস ৪৬ ও রিচার্ড সেলেটওয়ানে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের সুযোগ ছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের নিয়মিত আসা-যাওয়ার কারণে সেটা হয়নি। মাত্র ৭৫ রান যোগ করতেই বাকি সাত উইকেট হারায় ইমার্জিং দল। অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দিপু স্কোরবোর্ডে মাত্র ২ রান যোগ করে ৪৪ রানে আউট হন। প্রীতম কুমার কোনো রান যোগ না করেই ফিরেন।
আরো পড়ুন:
নাহিদ রানা ‘ট্রমাটাইজড’, যাচ্ছেন না পাকিস্তানে
নাঈম-সাইফের ফিফটির দিনে বৃষ্টির বাধা
দিনের শুরুতে এই ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি বাকি ব্যাটসম্যানরা। শেষ দিকে শফিকুল ইসলাম ১৩ ও রিপন মন্ডল ২৬ রান যোগ করলে দলের রান তিনশ পার করে।
বল হাতে প্রোটিয়াদের হয়ে ৪৭ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার তিহান মাইকেল। ২টি করে উইকেট নেন ডিয়ান ফোরস্টার ও শেপো ইনোসেন্ট।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান যোগ করে সফরকারীরা। মুহাম্মদ মুনাক ও জিলিমে জুমা থিতু হয়ে রান তুলছিলেন। তবে মাত্র দুই ওভারে পাল্টে যায় তাদের ব্যাটিংয়ের চিত্র। স্পিনার রাকিবুল হাসান ২০তম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন। উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান ৩৫ রান করা মুনাককে।
পরের ওভারে বল হাতে এসে রিপন মন্ডল নেন দুটি উইকেট। প্রথমে জুমা ২৯ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। এরপর চারে নামা কনার বয়ড কোনো রান না করেই ফিরে যান। কোনো রান যোগ না করেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে প্রোটিয়া যুবারা।
সেখান থেকে মার্টিনিউস ও সেলেটওয়ানের অবিচ্ছিন্ন ৮২ রানের জুটি প্রোটিয়াদের কিছুটা স্বস্তি দেয়। দিন শেষে এখনও তারা ১৫৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন য গ কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা: সেনাপ্রধান
মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বুধবার সকালে সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় (অফিসার্স অ্যাড্রেস) মব ভায়োলেন্স, সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড বিষয়ে জাতিসংঘের তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন, অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কারসহ নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি এ কথা জানান। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ বিষয়ে কোনো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়নি। পরে যোগাযোগ করা হলে আইএসপিআর কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানায়।
ঢাকা সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এ সভায় ঢাকার বাইরের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো জানায়, অফিসার্স অ্যাড্রেসে প্রথমে সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। এরপর বিভিন্ন ইউনিট থেকে যেসব কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন তাদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সেনাপ্রধান।
সভায় শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে নিজের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিরলস ভূমিকা ও প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন সেনাপ্রধান। সেনা কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও আনুগত্য বজায় রাখারও আহ্বান জানান তিনি।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে। এটি হতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। করিডোরের ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ও এখানে যুক্ত।
সেনাপ্রধান বলেন, আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু মহল তাঁকে ও বাহিনীকে অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর– এমন কোনো কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনও যুক্ত হবে না। কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। এই বাস্তবতায় সব পর্যায়ের সেনাসদস্যকে নিরপেক্ষ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আগামীতে নির্বাচনী দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেন সেনাপ্রধান।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সহযোগিতা করছি। সহযোগিতা করে যাব। সামনে ঈদ। মানুষ যেন নিরাপদে ঈদ উদযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। আমাদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।
নির্যাতিতদের অধিকারের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন সেনাপ্রধান। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যের পর এক ঘণ্টাব্যাপী প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। একজন কর্মকর্তা বিভিন্ন অভিযোগে বরখাস্ত সেনাসদস্যদের অপরাধের বিষয়গুলো আইএসপিআরের মাধ্যমে প্রকাশ করার কথা জানান।
বন্দর নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল ওয়াকার বলেন, এখানে স্থানীয় মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের মতামত প্রয়োজন হবে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত রাজনৈতিক সরকারের মাধ্যমে। সংস্কার নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কী সংস্কার হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে– এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।