পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি ম্যাচগুলোতে আর থাকছে না ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস)। লিগ ফের শুরু হলেও এই প্রযুক্তি সরবরাহকারী হক-আই টিম পাকিস্তানে ফিরে আসেনি। চলতি মাসের শুরুতে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত উত্তেজনার কারণে পিএসএল সাময়িকভাবে স্থগিত হয়। আর সেই বিরতির পর ডিআরএসবিহীন চলছে খেলা।

২০১৭ সাল থেকে পিএসএলের প্রতিটি আসরে ডিআরএস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবারের আসরেও ৭ মে পর্যন্ত সেটি ছিল। কিন্তু যুদ্ধের পর নতুন করে পিএসএল শুরু হওয়ার পর অনুষ্ঠিত হওয়া পাঁচটি ম্যাচ ডিআরএস ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে। আশা জাগানিয়া বিষয় হলো এখন পর্যন্ত কোনো বড় বিতর্ক বা সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ডিআরএস না থাকায় পিএসএল কিংবা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি তীব্র হয়ে ওঠায় এবারের পিএসএলে সূচি নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দেয়। টুর্নামেন্ট চালিয়ে নিতে প্রযোজনা টিমের সময়সীমাও এক সপ্তাহ বাড়াতে হয়। এরই মধ্যে মুলতানের একটি ম্যাচ লাহোরে সরিয়ে নেওয়া হয় ভ্রমণ ও ক্যামেরা সরঞ্জাম স্থানান্তরের ঝামেলা কমাতে।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তান সফরের দল থেকে ছিটকে গেলেন সৌম্য, ফিরলেন মিরাজ

এলোমেলো ক্রিকেট, দুরবস্থা মানসিকতাতেও

অন্যদিকে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজও এই পরিস্থিতির প্রভাব থেকে বাদ যায়নি। শুরুতে সিরিজটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৫ মে থেকে। কিন্তু এখন সেদিন ফাইনাল নির্ধারিত হয়েছে পিএসএলের। ফলে সিরিজের সময় পিছিয়ে ২৮ মে করা হয়েছে এবং ম্যাচ সংখ্যা পাঁচ থেকে কমিয়ে তিনটিতে আনা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ মে) গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হচ্ছে করাচি কিংস ও লাহোর কালান্দার্স। এর আগের দিন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। তারা গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৩০ রানে হারায়। ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ইউনাইটেডকে আগামীকাল শুক্রবার খেলতে হবে আজকের ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল ড আরএস

এছাড়াও পড়ুন:

পন্টিংয়ের পছন্দেই হোবার্ট হারিকেন্সে রিশাদ

টানা দুই মৌসুমে রিশাদ হোসেনকে দলে নিয়েছে বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেন্স। বাংলাদেশি এই লেগস্পিনারকে নিয়ে দারুণ আশাবাদী অস্ট্রেলিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাদের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার স্যালিয়ান ব্রিগস জানালেন, রিশাদকে দলে নেয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন রিকি পন্টিং। বিশ্বকাপে রিশাদের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়েছিলেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে রিশাদ ছিলেন আসরের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ৭.৭৬ ইকোনমিতে বল করে তিনি প্রমাণ করেছেন নিজের দক্ষতা। উইকেট টেকিং অ্যাবিলিটি, গুগলি, ভ্যারিয়েশন, বাউন্স সব মিলিয়ে রিশাদ এখন একটি ‘কমপ্লিট প্যাকেজ’। শুধু বোলিং নয়, লোয়ার অর্ডারে ব্যাট হাতেও অবদান রাখতে পারেন তিনি।

এ বিষয়েই স্যালিয়ান ব্রিগস বলেন, ‘রিশাদ আগ্রাসী লেগস্পিনার। আমরা এমন কাউকে খুঁজছিলাম, যে শুধু ডিফেন্সিভ বোলিং করবে না। ব্যাটিংও জানে, ৮ নম্বরে নামলে লাইনআপ আরও ভারসাম্যপূর্ণ হবে। তার প্রতি একাধিক দলের আগ্রহ ছিল। রিকি পন্টিং আমাদের কনসালট্যান্ট, তিনি রিশাদকে চেনেন, বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স দেখেছেন।’

যদিও পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সিরিজে তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না রিশাদ। ৩ ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট, দু’টি ম্যাচে ৫০’র বেশি রান হজম করেছেন। পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিলেও শেষ দিকে ছিলেন কিছুটা খরচে। তবু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তার চাহিদা কমেনি।

২০২৪ সালে প্রথমবার রিশাদকে দলে নেয় হোবার্ট হারিকেন্স। তবে বিপিএলের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় খেলতে পারেননি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো তাকে নিয়েছে দলটি। এইবার আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তরুণ টাইগার রিস্ট স্পিনার।

গত বছর গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা থেকেও ডাক পেয়েছিলেন রিশাদ, তবে এনওসি জটিলতায় অংশ নিতে পারেননি। পিএসএল দিয়ে বিদেশি লিগে অভিষেকের পর এবার বিগ ব্যাশ তার জন্য আরও বড় মঞ্চ। হোবার্টের আস্থা আর পন্টিংয়ের পছন্দ, সব মিলিয়ে রিশাদকে ঘিরে প্রত্যাশা তুঙ্গে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পন্টিংয়ের পছন্দেই হোবার্ট হারিকেন্সে রিশাদ