ঈদযাত্রায় ট্রেনের ৪ জুনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ
Published: 25th, May 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। আজ দেওয়া হচ্ছে আগামী ৪ জুনের টিকিট। তবে স্টেশনের কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে শতভাগ আসনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
রোববার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলে চলাচল করা ট্রেনগুলোর আসনের টিকিট।
এবার ঈদে পাঁচ রুটে ১০টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এসব ট্রেনের মধ্যে কিছু ট্রেন আগামী ৪ থেকে ৬ জুন এবং ঈদের পরে ৯ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলাচল করবে। এছাড়া ঈদের দিনও কিছু ট্রেন চলবে। স্পেশাল ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে পাওয়া যাবে, অনলাইনে বিক্রি হবে না।
এছাড়া এবার ঈদে ৪৩টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে সারাদেশে। এসব ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজার ৩১৫। এর বাইরে প্রতিটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হবে স্টেশনের কাউন্টার থেকে।
ঈদ উপলক্ষ্যে রেলওয়ের নেওয়া কর্মপরিকল্পনা থেকে জানা যায়, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩১ মের আসন বিক্রি হয়েছে গত ২১ মে; ২ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৩ মে; ৩ জুনের আসন বিক্রি হয়েছে ২৪ মে; ৪ জুনের আসন বিক্রি হচ্ছে আজ ২৫ মে; ৫ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৬ মে এবং ৬ জুনের আসন বিক্রি হবে ২৭ মে।
রেলওয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঈদের আগে ৭ দিনের ট্রেনের আসনের টিকিট বিশেষ ব্যবস্থায় অগ্রিম হিসেবে বিক্রি করবে। এ সময় কেনা টিকিটগুলো যাত্রীরা রেলওয়েকে ফেরত দিতে পারবেন না। প্রতিজন টিকিটপ্রত্যাশী ৪টি আসনের টিকিট একবার একসঙ্গে সংগ্রহ করতে পারবেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ র লওয় জ ন র আসন ব ক র আসন র ট ক ট র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঈদে চলবে ১৭ ফেরি ও ২০ লঞ্চ
ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন রাখতে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। সেই সঙ্গে ঈদের আগের ৩ দিন ও পরের ৭ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার নিজ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনগুলো রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটছে। কয়েক দিন পর পশুবাহী গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়বে। দৌলতদিয়া দিয়ে ফেরি পারাপারের সময় গরুর সঙ্গে থাকা রাখালদের কাছ থেকেও ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা করে আদায় করা হয়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির নজরে এনে করণীয় নিয়ে জানানো হয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘাট ইজারাদার কর্তৃপক্ষ শুধু খুচরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতে পারবে। এ ছাড়া বাসযাত্রী, ট্রাকের যাত্রী বা গরুর রাখাল, ব্যাপারী কারও কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। ঈদ প্রস্তুতি হিসেবে দৌলতদিয়ায় ৩, ৪ ও ৭ নম্বর—এই ৩টি ঘাট সচল থাকছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় প্রয়োজনে আরও একটি ঘাট প্রস্তুত করা হবে। এ রুটে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি সার্বক্ষণিক সচল থাকবে।
জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘ঈদে ঘাট এলাকায় বাড়তি আলোর ব্যবস্থা, শৌচাগার, বিশ্রামাগার, মেডিকেল দলসহ অন্য বিষয়ে প্রশাসনের অতিরিক্ত নজরদারি থাকবে। মৌসুমি কাউন্টার খুলে যাত্রীদের থেকে বাড়তি টাকা আদায়, মাইক্রোবাস থেকে চাঁদাবাজি, ফেরিতে জুয়ার মতো অপরাধমূলক কার্যক্রম শক্ত হাতে দমন করা হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সাজা নিশ্চিত করা হবে।’