ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হত্যায় ৮ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি
Published: 27th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ মঙ্গলবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, শাহরিয়ার হত্যার ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাঁদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে।
আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা২৬ মে ২০২৫তবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে খুদে বার্তায় কিছু জানায়নি ডিএমপি। খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, আজ বিকেল পৌনে পাঁচটায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। বিস্তারিত জানাবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
১৩ মে দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাহরিয়ার হত্যায় তিনজন গ্রেপ্তার: পুলিশ১৪ মে ২০২৫আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি২৬ মে ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল হত য র ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
১৯ বছরে স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়ায় ক্ষোভ এলাকাবাসীর
১৯ বছর আগে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মহিলা কলেজসংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ঘটেছিল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ট্রেন-বাস সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৩৫ জন। বেদনাবিধুর দিনটি আজও ভোলেনি এলাকাবাসী। কিন্তু তাদের স্মরণে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। নির্মাণ হয়নি কোনো স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আক্কেলপুরবাসীর ব্যানারে কর্মসূচি চলাকালে নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেদিনের দুর্ঘটনায় নিহত আব্দুল হামিদ ভাসানীর ছেলে হামিদ খান জনি, আরমান হোসেন কানন, মিলন চৌধুরী, আক্কেলপুর শিক্ষার্থী পরিবারের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন সম্রাট, শিক্ষার্থী মেরিন হোসেন, অপূর্ব চৌধুরী আশ্বিন, শিক্ষার্থী, সমাজকর্মী ও নিহত-আহতদের স্বজনসহ অনেকে।
স্বজনরা বলেন, এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেল। ৩৫ জন মারা গেলেন। তাদের জন্য কিছুই করা হলো না। প্রতি বছর দিনটি আসে, যায়। কিন্তু যারা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য একটি পাথরের ফলকও তৈরি হয়নি। সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কাজ কিছুই করেনি। এটি শুধু অবহেলা নয়, নিহতদের অপমান।
স্থানীয় বাসিন্দা আরমান হোসেন কানন বলেন, প্রতিবার এই দিনটিতে শুধু ফেসবুকে পোস্ট হয়, আর কিছুই হয় না। অথচ জায়গাটি শুধু একটি দুর্ঘটনার স্থান নয়; এটি গণশোকের প্রতীক। ১৯ বছরে একটিবারও স্থানীয় এমপি বা রেল কর্তৃপক্ষ আসেননি। অনেক অবহেলা হয়েছে। আমরা এখন স্মৃতিস্তম্ভ চাই।
আক্কেলপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা লিখিত আবেদন করলে দ্রুত অর্থ বরাদ্দ দিয়ে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
২০০৬ সালের ১১ জুলাই সকালে আক্কেলপুর মহিলা কলেজসংলগ্ন অরক্ষিত রেলগেট অতিক্রম করছিল খেয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এ সময় সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেন বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২৫ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১০ জন মারা যান। আহত হন অন্তত ৩০ জন। সেদিন আক্কেলপুর কলেজ মাঠে একসঙ্গে ১১ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভা সাত দিনের শোক ঘোষণা করে।
‘আবেগ’ ‘অন্তিমে’ খুদে শিক্ষার্থীদের স্মরণ
২০১১ সালের ১১ জুলাই। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিহত হয় ৪৫ কোমলমতি শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল ৩৪ জন। আশপাশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আরও সাতজন, একজন অভিভাবক ও দু’জন ফুটবলপ্রেমী দেশব্যাপী আলোচিত এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন।
সেই দিনের ভয়াবহ ঘটনাটি স্মরণ করে গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোমাইয়া আক্তার। আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় এ আয়োজন করে।
প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তারের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস মোস্তফা আলম সরকার। শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন শিক্ষক সমীরণ বড়ুয়া, রতন কুমার দাস, আবুতোরাব এসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার দাস, নিহত শিক্ষার্থী এমরান হোসেনের বাবা আবুল কাশেমসহ অন্য অতিথিরা।