পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ফসলি জমির পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের দায়ে দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুর এলাকার বাসিন্দা ও বালু-পাথর উত্তোলনের জন্য খনন করা জমির মালিক শফিউল ইসলাম এবং এস্কেভেটর চালক পলাশ (২৬)। তিনি যশোরের শর্শা উপজেলার বাসিন্দা।

আরো পড়ুন:

লালপুরের এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে অভিযানের অভিযোগ

ফেনীতে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ৬ মাসের কারাদণ্ড

 শফিউল ইসলামকে ছয় মাস ও পলাশকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১০ এর ১৫(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় অবৈধ উপায়ে ফসলি জমির পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করছিলেন শফিউল ইসলাম। এসব বালি ও মাটি ওই এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছিল।

সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয়ের নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী। এসময় জমির মালিক শফিউল ইসলামকে ৬ মাস ও এস্কেভেটর চালককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী বলেন, “প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জমির মালিক সমতল মাটি কেটে পুকুর খননের নামে বালু ও পাথর অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করছিলেন। এর আগেও খবর পেয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি শোনেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে সাজা দেওয়া হয়।”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৯ বীর) পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় বলেন, “পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাটি কেটে অবৈধ উপায়ে বালু ও পাথর উত্তোলনের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুইজনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর উপজ ল উপজ ল র র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড

ঝালকাঠিতে জাল টাকা বহনের দায়ে নুপুর বেগম ও জসিম খলিফা নামে  দুইজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। 

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার

খুলনায় নবজাতক চুরি: নারী গ্রেপ্তার 

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আক্কাস সিকদার রায়ের তথ্য জানিয়েছেন। দুই আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত নুপুর বেগম (৩৫) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর এলাকার আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী এবং জসিম খলিফা (৩৬) ঝালকাঠির সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার ওয়াজেদ খলিফার ছেলে। 

ঝালকাঠি জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজ বাড়ি রোড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সূবর্ণ চন্দ্র দের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকার ১৯৬টি জালনোট, ৫০০ টাকার ২০০টি জালনোট ও ২০০ টাকার ৫টি জালনোট জব্দ করা হয়। 

এসআই সুবর্ণ চন্দ্র দে বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন। 

রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জসিম খলিফা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে। 

ঢাকা/অলোক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • কেন্দুয়ায় নারী পাচারকারী সন্দেহে চীনা নাগরিকসহ আটক ২