পঞ্চগড়ে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করায় ২ জনের কারাদণ্ড
Published: 27th, May 2025 GMT
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ফসলি জমির পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের দায়ে দুইজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুর এলাকার বাসিন্দা ও বালু-পাথর উত্তোলনের জন্য খনন করা জমির মালিক শফিউল ইসলাম এবং এস্কেভেটর চালক পলাশ (২৬)। তিনি যশোরের শর্শা উপজেলার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
লালপুরের এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূতভাবে অভিযানের অভিযোগ
ফেনীতে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ৬ মাসের কারাদণ্ড
শফিউল ইসলামকে ছয় মাস ও পলাশকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১০ এর ১৫(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের যতনপুকুরী এলাকায় অবৈধ উপায়ে ফসলি জমির পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বালু ও পাথর উত্তোলন করছিলেন শফিউল ইসলাম। এসব বালি ও মাটি ওই এলাকায় ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছিল।
সেনাবাহিনীর পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয়ের নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী। এসময় জমির মালিক শফিউল ইসলামকে ৬ মাস ও এস্কেভেটর চালককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহন মিনজী বলেন, “প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জমির মালিক সমতল মাটি কেটে পুকুর খননের নামে বালু ও পাথর অবৈধ উপায়ে উত্তোলন করছিলেন। এর আগেও খবর পেয়ে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি শোনেননি। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে সাজা দেওয়া হয়।”
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৯ বীর) পঞ্চগড় ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মেহেদী পিয়াস জয় বলেন, “পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় মাটি কেটে অবৈধ উপায়ে বালু ও পাথর উত্তোলনের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। এসব ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আজকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুইজনকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/নাঈম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদর উপজ ল উপজ ল র র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য দিলেন বাদী
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ও মামলার বাদীর পূর্ণ স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদী।
আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী তারিখে ভুুক্তভোগীর সাক্ষ্যগ্রহণ হবে। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি আবুল হোসেন জানান, আদালতে মামলার বাদীর পূর্ণ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগের তারিখে তিনি আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্যের হাতে সাম্য হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন
নরসিংদীতে ডিবি পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৬
তিনি বলেন, “আজ ক্যামেরা ট্রায়ালে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। আগামী সপ্তাহে ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ এবং দুইজনকে নাম না জানা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিনদিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র্যাব। পরবর্তীতে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আটজন আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযুক্তরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন রবিউল ও মাহফুজুর। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের টিলাগড় কেন্দ্রীক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
ঢাকা/নূর/মাসুদ