গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকা, সিলেট পুলিশ লাইন, কুমিল্লা পুলিশ লাইন, ডেমরা পুলিশ লাইন এবং চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে আবাসিক ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্প ৫টিতে অতিরিক্ত ব্যয় হবে ১৯ কোটি ৮৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩৯ টাকা।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ সদস্যদের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০তলা ভিত্তিসহ ২০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আরো পড়ুন:
পদ্মায় ভাসছিল ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ
খুলনায় ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক নেতাসহ গুলিবিদ্ধ ৩
এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭ টাকা। প্রকল্পটির চুক্তি মূল্য ছিল ৭৮ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ৩৭৩ টাকা। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ৮০ কোটি ২০ লাখ ৪ হাজার ৪২০ টাকা। ডিইউএল-পিবিএল (জেভি) প্রকল্পটির কাজ করছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১৭তলা ভিত্তিসহ ১৭ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিবিএল এবং এলজেআই (জেভি)-এর সঙ্গে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৮৭ টাকায় চুক্তি করা হয়। এখন ভেরিয়েশন বাবদ ব্যয় ৫ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৬ টাকা বাড়ানো হলো। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬৪ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৪২৪ টাকা।
বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ডেলিগেটেড ওয়ার্ক হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ১৭তলা ভিত্তিসহ ১৫তলা ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দেশ উন্নয়ন লিমিটেড, মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে ৬৪ কোটি ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৫৯ টাকায় চুক্তি হয়। এখন এর ব্যয় ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯৮ টাকা বাড়ানো হলো। ফলে প্রকল্পটির সংশোধি চুক্তিমূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ৬৬ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫৮ টাকা।
বৈঠকে ঢাকার ডেমরা পুলিশ লাইনে বাস্তবায়নাধীন ২০তলা ভিত্তিসহ ২০তল আবাসিক ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ানোর একটি প্রস্তাব দেয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাটিও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য দি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, দি অর্বিট বাংলাদেশের সঙ্গে ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার ২৯৭ টাকার চুক্তি হয়। এখন প্রকল্পটির ব্যয় ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বাড়ানো হলো। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ৮৩ কোটি ৩০ লাখ ৩৩ হাজার ৯৩৯ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় দ্বিতীয় পুলিশ লাইনে ২০তল ভিত্তিসহ ২০তল ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আসে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এই প্রকল্পটির ব্যয় ২ কোটি ১৮ লাখ ৩৬ হাজার ৩১৬ টাকা বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ছিলো ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৯ টাকা। ফলে এখন সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে ৮৩ কোটি ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ৫০৬ টাকা হয়েছে। বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড, ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড প্রকল্পটির কাজ করছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই প রকল প র প রস ত ব প ল শ ল ইন প রকল প র ভ ত ত সহ র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়