সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ৬টি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আসাদ উদ দৌলা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী চেতনায় উজ্জীবিত সিকৃবির ছাত্র-ছাত্রীদের জোরালো দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলসমূহের নাম পরিবর্তন ও সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নতুন প্রশাসনিক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন ও ৩টির নাম পুনর্বহাল করে এম.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কালীগঞ্জ কাঁপাচ্ছে বিশাল আকৃতির নিগ্রো!
গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে একটি বিশাল আকৃতির ষাঁড়- নাম তার ‘নিগ্রো’।
উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের জুয়েল আকন্দ (৩২) শখের বশে লালন-পালন করা এই বিরল দৃষ্টিনন্দন ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১১৫০ কেজি।
জুয়েলের নিজ বাড়িতে ষাঁড়টি বিক্রির অপেক্ষায় থাকলেও এর চাহিদা ও কৌতূহল এখন ছড়িয়ে পড়েছে দূর-দূরান্তে।
আরো পড়ুন:
প্রস্তুত হাট, আসছে গরু-অপেক্ষা ক্রেতার
খুলনার জোড়াগেট হাটে হাসিল কমেছে ১ শতাংশ
জুয়েল আকন্দ জানান, প্রায় দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের নাওয়ানের মোড় থেকে মাত্র দুই দাঁতের অবস্থায় কালো রঙের ষাঁড়টি কেনেন। এরপর থেকেই প্রাকৃতিক খাদ্য ও যত্নে তিনি গড়ে তুলেছেন ‘নিগ্রো’কে। কোনো স্টেরয়েড বা কৃত্রিম উপাদান ছাড়াই ঘাস, ভুসি, ছোলা, গাজর, কলাই, ও দানাদার খাবার খেয়ে বড় হয়েছে ষাঁড়টি। দিনে দুইবার গোসল আর পর্যাপ্ত চলাফেরার সুযোগে নিগ্রো এখন একেবারে স্বাস্থ্যবান এবং ঝলমলে চেহারার একটি ষাঁড়।
জুয়েল বলেন, “নিগ্রো নামটি আমি দেইনি, কালো জিভ আর কুচকুচে কালো গায়ের রঙ দেখে লোকজনই এ নাম দিয়েছিল। সেই নামেই পরিচিতি পেয়েছে।”
এখন প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন নিগ্রোকে একনজর দেখতে। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ করছেন ফেসবুক লাইভ। এমন উৎসাহ অনেকটাই মেলা মেলার পরিবেশ তৈরি করেছে জুয়েলের বাড়িতে।
মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ টাকা, তবে স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীদের মতে নিগ্রোর প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হতে পারে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেকে দাম বলছেন, কেউ আবার বুকিং দিতে চাইছেন কিন্তু এখনো কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় জুয়েল ষাঁড়টি ছাড়েননি।
“শখের বসে লালন করেছি, তাই হেলায় ছাড়তে চাই না। তবে কেউ সঠিক মূল্য দিলে নিগ্রোর রশি তার হাতেই তুলে দেব।”-বলেন জুয়েল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি শুধু একটি ষাঁড় নয়, এটি খৈকড়া গ্রামের গর্ব। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালিত এই ষাঁড় যেন সম্ভাবনার এক উজ্জ্বল প্রতীক।
জুয়েলের প্রতিবেশিরা জানান, এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপায়ে লালন-পালন করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকে খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে।
বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রতিবছর যেমন লক্ষ লক্ষ পশু প্রস্তুত হয়, তেমনি বিরল আকৃতির পশুরাও হয়ে ওঠে আলোচনার বিষয়বস্তু। এবারের ঈদে কালীগঞ্জে নিগ্রো যেন সবার আগ্রহ ও ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। এটি বিক্রি হবে কি না, হবে তো কত দামে-তা সময়ই বলবে। তবে নিঃসন্দেহে, কালীগঞ্জের ঈদ উদযাপন নিগ্রোকে ঘিরেই এবার এক নতুন রঙে রাঙা হয়েছে।
ঢাকা/রফিক/এস