ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ
Published: 24th, May 2025 GMT
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬২ সালে। হাসপাতালটি শুরুর দিকে মাত্র ৩০০ শয্যা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে এর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার শয্যায়। মূল শহরে হাসপাতালটির অবস্থান হওয়ায় সুচিকিৎসার আশায় প্রতিদিন এখানে আসেন কয়েক হাজার রোগী।
হাসপাতালটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ জরুরি বিভাগে প্রতিদিন শত শত রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। কিন্তু এ বিভাগের অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বলতেই হয়। সেখানে নেই সঠিক বর্জ্য নিষ্কাশনব্যবস্থা। সেখানকার টয়লেট ও গোসলখানার পরিবেশ নোংরা, বারান্দা অপরিষ্কার (যেখানে রোগীদের বিছানাও রয়েছে অপরিষ্কার মেঝেতে)। এমনকি সুপেয় বা পানযোগ্য পানি আনতেও যেতে হয় নিচতলায়। বারান্দায় থাকা রোগীদের চিকিৎসাসেবা পেতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীর সঙ্গে আসা সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। আমরা আশা করব জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের সব বিভাগের সঠিক ব্যবস্থাপনার দিকে গুরুত্ব দেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জান্নাতুল মুশরাত জেবিন
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কবি আল মাহমুদের ৯০তম জন্মদিন শুক্রবার
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তর হয়ে রক্তক্ষয়ী জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিপ্লবী এ পথপরিক্রমায় যার কবিতা মুক্তিকামী গণমানুষকে প্রাণীত করেছে, তিনি সবুজের কবি আল মাহমুদ। দ্রোহ, প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনার কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন শুক্রবার (১১ জুলাই)।
১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়ার মৌরাইলে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আর সাহিত্যের ষোলকলা পূর্ণ করে ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অমরতার পথে হারিয়ে যান তিনি।
কবি আল মাহমুদের ৯০ তম জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক আয়োজনে দিনটি পালন করবেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
আরো পড়ুন:
এলিজার নতুন দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
তরুণ লেখকদের নিয়ে চন্দ্রিমায় সাহিত্য আড্ডা
এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবিকে ঘিরে আলোচনা, স্মরণ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কালের কলস ও কালের ধ্বনি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিল্প-সাহিত্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন।
একই দিন সকালে ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদ, ময়মনসিংহে আয়োজন করেছে ‘আমাদের আল মাহমুদ’ শীর্ষক সেমিনার।
বাংলা একাডেমি সূত্র জানিয়েছে, কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জুলাইতে বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হবে। তবে দিন-তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আর ১২ জুলাই, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ভবনে বিকেল ৪টায় কবিতা, স্মৃতিচারণ ও আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী পালন না করায় ক্ষোভ জানিয়েছে কবিভক্তরা। তারা জানিয়েছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারী সময়ে আল মাহমুদকে তুমুল অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে আল মাহমুদের অনেক কবিতা ছাত্র-জনতাকে দারুণভাবে উদ্বুব্ধ করেছে। তিনি বাংলা ভাষার ফসলি জমিনকে জাদুকরী দক্ষতায় উর্বর করে গেছেন। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি উচিত ছিল রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে স্মরণ করা। অবিলম্বে কবির লেখনি পাঠ্যপুস্তকে পুনর্বহালসহ কবির সাহিত্য গবেষণায় কবি আল মাহমুদ ইনিস্টিটিউট প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।
ঢাকা/এসবি