বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। অভিনয় ক্যারিয়ারে ভিন্ন ঘরানার সিনেমা যেমন উপহার দিয়েছেন, তেমনি সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারের জন্য বিচিত্র কৌশল অবলম্বন করেছেন।
আমির খান অভিনীত সিতারে জমিন পার সিনেমা ২০ জুন মুক্তি পাবে। সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীর একদিন পর স্ট্রিট ফুড বিক্রি করতে দেখা গেল এই অভিনেতাকে। এ মুহূর্তের বেশ কটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে অন্তর্জালে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মুম্বাইয়ের রাস্তায় স্থানীয় এক বিক্রেতাকে সঙ্গে নিয়ে বিখ্যাত সুস্বাদু বড়া পাভ তৈরি করছেন অভিনেতা আমির খান। আর এ অভিনেতাকে ঘিরে রেখেছেন উৎসুক জনতা। আমিরের এই কাণ্ড দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা।
আরো পড়ুন:
নিজেকে বুঝিয়েছিলাম কেঁদে লাভ নেই, দেবশ্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে প্রসেনজিৎ
তানিন সুবহার জীবনের অজানা অধ্যায়
কেউ কেউ বলছেন, এতগুলো সিনেমা পরপর ফ্লপ করায় পেশা বদলে ফেললেন আমির! অনেক ভক্ত ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং তার প্রচারমূলক কৌশল সম্পর্কে উদ্ভট মন্তব্য করেছেন। এক ভক্ত লিখেছেন, আমির খানের প্রচারের কৌশলকে কেউ হারাতে পারবে না। আরেকজন লেখেছেন, সিনেমা মুক্তির আগে এটা বাধ্যতামূলক।
আমির খান পরিচালিত ও অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল-সিতারে জমিন পার। এর মাধ্যমে রুপালি পর্দায় ফিরেছেন আমির।
আমির খানের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। সিনেমাটিতে ১০ জন নতুন মুখ রয়েছেন। তারা হলেন- আরৌশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সাম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বানসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি সাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র ও সিমরান মঙ্গেশকর।
অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনাও করছেন আমির খান। এটি পরিচালনা করেছেন আর.
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র খ ন আম র খ ন ন আম র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ কিশোরের মৃত্যু, বিএনপির প্রতিবাদ
চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ এক কিশোর মোহাম্মদ আরিফের (১৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাকে ছাত্রদল কর্মী উল্লেখ করে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি।
গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিটি করপোরেশন ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের হাটহাজারী থানার সন্দ্বীপ কলোনি এলাকায় গুলিতে আহত হয় আরিফ। সে ওই এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে এবং কলোনি ইউনিট ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিল। এ ঘটনার জন্য নিহত কিশোরের পরিবার ও স্থানীয় লোকজন ‘সন্ত্রাসী’ মোহাম্মদ সুমন ও তাঁর ভাই ভুট্টো জড়িত বলে অভিযোগ করে তাঁদের বিচার দাবি করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্দ্বীপ কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘ভুট্টো-সুমন’ ও ‘সাখাওয়াত’ নামে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সুমন মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড শাখার সভাপতি এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সাখাওয়াত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবে পরিচিত। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সুমন গ্রেপ্তার হলেও আবার জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর সন্দ্বীপ কলোনির পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসীকে নিরাপদ আশ্রয় দেন সুমন। যাতে পাহাড়ি খাসজায়গা তাঁর দখলে থাকে। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর সুমন ও তাঁর বাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় একটি রাজনৈতিক দল।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সশস্ত্র লোকজন নিয়ে কলোনিতে আসেন সুমন। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের ধাওয়া দেন স্থানীয় লোকজন। ওই সময় ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে তাঁরা পালিয়ে যান। এর মধ্যে একটি গুলি এসে লাগে আরিফের পেটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর কলোনিতে সুমনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি অটোরিকশা উদ্ধার করে।
নিহত আরিফের বড় ভাই আলাউদ্দিন তাঁর ভাইকে গুলি করে মারার পেছনে সুমনকে দায়ী করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস নিহত আরিফকে ছাত্রদল কর্মী উল্লেখ করে হত্যার বিচার দাবি করেন। সন্দ্বীপ কলোনি এলাকায় সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান প্রশাসনের কাছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ আরিফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।