রাজধানীর কদমতলা সোসাইটির মশা নিধন কার্যক্রম
Published: 28th, June 2025 GMT
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে সামাজিক সংগঠন কদমতলা সোসাইটি।
শুক্রবার ‘নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি’ এবং ‘রাখি চারপাশ পরিষ্কার, করি ডেঙ্গু প্রতিকার’ স্লোগানে মশা নিধন উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত চৌধুরী, সদস্য মো.
কদমতলা সোসাইটির সদস্য সচিব ইয়াসির আরাফাত চৌধুরী বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি। সবাই সহযোগিতা করলে মশক নিধন কার্যক্রম আরও সফলভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।’
মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি কদমতলা সোসাইটি সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যসেবাও দিয়ে থাকে। প্রতি শুক্রবার মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে এলাকার বাসিন্দারা ওজন, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ পরীক্ষা করাতে পারেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলী মোড় এখন দস্তগীর চৌধুরী চত্বর
চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলী মোড়কে ‘দস্তগীর চৌধুরী চত্বর’ নামকরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর নামে মোড়টিতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মী ও পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সিটি করপোরেশন সড়ক, ভবন ও স্থাপনা নামকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, নামকরণের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি নামকরণ উপ-কমিটির সদস্যরা।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা দস্তগীর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। এক এগারোর পর তিনিই চট্টগ্রামের প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অবৈধ শাসনামলেও তিনি সাহসিকতার সঙ্গে কঠিন সময়ে রাজনীতি করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দস্তগীর চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও তার বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ক্রীড়া উন্নয়নে তার অবদান চট্টগ্রামবাসীর কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে।’
সিটি করপোরেশন সড়ক, ভবন ও স্থাপনা নামকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, কোন অবকাঠামোর নামকরণের প্রস্তাব পাওয়ার পর নামকরণ উপ-কমিটি সুপারিশ করবেন। এরপর মেয়রের অনুমোদন নিয়ে সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। সাধারণ সভায় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নামকরণের প্রস্তাব পূর্বানুমোদনের স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাতে হবে।
সরকারের পূর্বানুমোদনের পাওয়ার পর নামকরণ চূড়ান্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এসব নিয়ম মানা হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে নামকরণ উপ কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সম্প্রতি নামকরণের প্রস্তাব নিয়ে কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য হাজী মো. সালাউদ্দিনের পরিচালনায় ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ইউসুফ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, নুর উদ্দিন নুরু, মা ও শিশু হাসপাতালের সভাপতি মোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আজাদ, মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন নাহার দস্তগীর ও সন্তান ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর।