ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা: ১ জনের যাবজ্জীবন
Published: 15th, January 2025 GMT
ফরিদপুরে ১০ বছর আগে কেরাম খেলাকে কেন্দ্র করে ফারুক ফকির (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মামুন শিকদারকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত যুবক মামুন শিকদার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বিশারী বাগজোলালমাঠ বাহারা এলাকার ইউসুফ আলী শিকদারের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো.
আরো পড়ুন:
শিশু নাবিলা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড
খুলনার সাবেক এমপিসহ ১০৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল ভাঙ্গা উপজেলার পীরেরচর বাজারে কেরাম খেলার ১০ টাকা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে মামুন শিকদারকে গালিগালাজ করেন ফারুক ফকিরের ভাতিজা আক্তার ফকির। এক পর্যায়ে মামুন শিকদার উত্তেজিত হয়ে আক্তারকে কিল-ঘুষি মারেন এবং চাকু দিয়ে কোপ দেয়। বিষয়টি দেখে ভাতিজাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় ফারুক ফকির। তখন ফারুকের বুকে চাকু দিয়ে কোপ দেয় মামুন। এক পর্যায়ে ফারুক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মামুনকে গণপিটনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনার পর ভাঙ্গা থানায় মামুনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা শাহজাহান ফকির। এ মামলায় মামুনকে কারাগারে পাঠানো হলে পরে জামিনে বের হয়ে আসে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘‘এ রায়ে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’’
ঢাকা/তামিম/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জে গ্রাম আদালত বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ
স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন (ডিএমআইই) পদ্ধতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), স্থানীয় সরকার শাখা, নাঈমা ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলার ৩ টি উপজেলা (সদর, বন্দর ও রুপগঞ্জ) থেকে ১৭ জন চেয়ারম্যান ও ১৭ জন ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সদস্যদের গ্রাম আদালতের এখতিয়ারাধীন মামলাসমূহে সালিশের মাধ্যমে বিচার পরিহার করতে হবে। গ্রাম আদালত দেশের আইন ও বিধিমালা পরিচালিত একটি আদালত।
এই আদালতে কোন আইনজীবীর প্রয়োজন পড়ে না। আবেদনকারী এবং প্রতিবাদী পক্ষের দুইজন সদস্য নিয়ে এই আদালত গঠিত হয় বিধায় এখানে পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।
ইউনিয়ন পরিয়দ ন্যায় ও সততার সাথে কাজ করলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে গ্রাম আদালত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নিয়মিত মনিটরিং এর মাধ্যমে গ্রাম আদালতকে আরো শক্তিশালী করা হবে। গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন (ডিএমআইই) পদ্ধতির মাধ্যমে সকল মামলার প্রতিবেদন করতে হবে। তাতে করে মামলার তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষিত হবে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার টি.এম রাহসিন কবিরের সঞ্চালনায় গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকৃত পরিবীক্ষণ, পরিদর্শন ও মূল্যায়ন (ডিএমআইই) পদ্ধতি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জেলা ম্যানেজার, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-৩য় পর্যায় প্রকল্প ফিরোজা বেগম ঝুমুর।