বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় মিজানুর মেম্বার আহত, নগদ টাকা লুট
Published: 4th, February 2025 GMT
বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মিজানুর রহমান (৪৪) রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ওই সময় হামলাকারিরা স্থানীয় মেম্বারকে কুপিয়ে নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
আহত মেম্বার মিজানুর রহমান বন্দর উপজেলার ভদ্রসন এলাকার মৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে। স্থানীয় এলাকাবাসী আহত মেম্বারকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে। এর আগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার ভদ্রসনস্থ এলাহী মিয়ার বাড়ি সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে আহত মেম্বারের স্ত্রী রানু বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার দুপুরে হামলাকারি বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন ও তার ৩ সন্ত্রাসী ছেলে আমির ফয়সাল অপু, টিপু ও বিপুলের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ।
আহত মেম্বারের স্ত্রী রানু বেগম গণমাধ্যমকে জানান, বন্দর উপজেলা ভদ্রসন এলাকার মৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে স্থানীয় মেম্বার মিজানুর রহমানের সাথে কুশিয়ারা এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে বন্দর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মিয়ার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ভদ্রসনস্থ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী ৩ ছেলে আমির হোসেন অপু, টিপু ও বিপুলসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দেশ্য মিজানুর মেম্বারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিরা মিজানুর মেম্বারকে বেদম ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আহতের স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আহত ম ম ব র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের এফ–১৬ যুদ্ধবিমান শক্তিশালী করে ভারতকে কী বার্তা দিতে চান ট্রাম্প
পাকিস্তানের এফ–১৬ যুদ্ধবিমানগুলোকে আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিক্রিতে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব যুদ্ধবিমানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও পাবে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারের যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কিনবে ইসলামাবাদ।
এমন এক সময়ে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তি হলো, যখন পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা চলছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর চলতি বছরের মে মাসেই পাঁচ দিনের সংঘাতে জড়িয়েছিল নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনতে সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাপ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
যুক্তরাষ্ট্র–পাকিস্তানের সমঝোতা
যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ বিক্রির যে অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা ২০২২ সালের একটি চুক্তির অংশ বলে জানিয়েছেন ব্রাসেলসভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক পারভীন দোনথি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কেনা পাকিস্তানের এফ–১৬ যুদ্ধবিমানগুলো হালনাগাদ করার জন্য ওই চুক্তি করা হয়েছিল।
পারভীন দোনথি বলেন, বড় পরিসরে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এফ–১৬। এ কারণেই সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে গেছেন। এ অঞ্চলে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এই এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের কার্যকারিতার ওপর দুই পক্ষই জোর দিয়ে থাকে।
পাকিস্তানের কাছে বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০টি ব্যবহারযোগ্য এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে বলে মনে করা হয়।পাকিস্তানের কাছে বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০টি ব্যবহারযোগ্য এফ–১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে বলে মনে করা হয়। এর কিছু পুরোনো ‘ব্লক–১৫’ সংস্করণের। পরে সেগুলো হালনাগাদ করা হয়েছিলেন। কিছু আবার জর্ডানের ব্যবহার করা। আর কিছু এফ–১৬ তুলনামূলক নতুন—‘ব্লক–৫২’ সংস্করণের।
এফ–১৬ হালনাগাদের জন্য যন্ত্রাংশ ও প্রযুক্তি ছাড়াও পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু যন্ত্রাংশ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলোর দাম ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ যন্ত্রাংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৯২টি ‘লিংক–১৬’ ব্যবস্থা। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে একই সময়ে সামরিক বিমান, জাহাজ ও স্থলবাহিনীর মধ্যে বার্তা ও ছবির মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (মাঝখানে)। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, হোয়াইট হাউস