বিয়ের পিঁড়িতে এসএ গেমসে জোড়া সোনাজয়ী মাবিয়া
Published: 7th, February 2025 GMT
দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে দুবার সোনা জিতেছেন। সাক্ষী হয়েছেন অনেক স্মরণীয় মুহূর্তের। খেলার মাঠ ছাপিয়ে এবার জীবনের মাঠেও স্মরণীয় এক দিন কাটালেন মাবিয়া আক্তার।
আজ বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন দেশের তারকা ভারোত্তোলক। তাঁর বর সাখাওয়াত হোসেনও (প্রান্ত) একজন ভারোত্তোলক। খেলতে এসেই তাঁদের পরিচয় ও ভালোবাসা। তা সফল পরিণতি পেয়েছে পারিবারিকভাবে।
মাবিয়া–সাখাওয়াতের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে দুজনই বাংলাদেশ আনসারের ভারোত্তোলক হওয়ায়। মাবিয়া দেশসেরা তো বটেই, ছাপ ফেলেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। ২০১৬ সালে গুয়াহাটি এসএ গেমসে সোনা জিতে তাঁর কান্নার দৃশ্যটা ভাইরাল হয়েছে। এরপর নেপালের পোখারাতে ২০১৯ সালেও জেতেন সোনা। সেবার এসএ গেমসে রুপা জেতেন সাখাওয়াত।
মাবিয়া-সাখাওয়াতকে নিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে একই খেলায় দম্পতির সংখ্যা আরেকটি বাড়ল। ব্যাডমিন্টনে আবুল হাশেম-কামরুন নাহার ডানা জুটির শুরু সেই আশির দশকে।
এনায়েত উল্লাহ খান-এলিনা সুলতানা জুটি বাঁধেন গত দশকে। শুটিংয়ে সাইফুল আলম চৌধুরী রিঙ্কি-সাবরিনা সুলতানা, শাকিল আহমেদ-নাজিফা নাতাশা জুটি বেঁধেছেন। ঘর বেঁধেছেন এসএ গেমসে সোনাজয়ী দুই সাঁতারু শাজাহান আলী রনি ও মাহফুজা খাতুন শীলা।
আর্চারিতে রোমান সানা-দিয়া সিদ্দিকীসহ ক্রীড়াঙ্গনে আছে আরও কয়েকটি জুটি। রোমান-দিয়া সম্প্রতি উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’