আত্মহত্যার চেষ্টা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর হাসপাতালে মৃত্যু
Published: 19th, February 2025 GMT
গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আহাদ হোসেন হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাশরিক হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ড. মাশরিক হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের (১৪তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী আহাদ হোসেন বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে বেলা একটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মো.                
      
				
গত সোমবার রাতে আহাদ রাজধানীর নারিন্দা এলাকায় নিজ মেসে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নিয়ে যান মেসের বন্ধুরা। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে তাঁকে আইসিইউয়ে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহাদের এমন মৃত্যুতে শোকাহত বিভাগের সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা। তাঁরা আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানেন না। তবে তাঁরা বলেন, কয়েক দিন ধরে তিনি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করেননি এবং বিগত তিন দিন রাতে ঘুমাতে পারেননি, যা সোমবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে নিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাশরিক হাসানকে জানান তিনি।
আহাদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছে তাঁর পরিবার। সেখানে মরদেহ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’