সোনারগাঁয়ের মেঘনায় বসুন্ধরা পেপার মিলস্ কাগজের ভারী মন্ডের চাপায় মো. নাজমুল হাসান (৩৫) নামে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকেলেএ ঘটনা ঘটে।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের সহকর্মী মো. নাজমুল-(২) জানান, আমরা বসুন্ধরা পেপার মিলে চাকরি করি কাগজের মন্ড এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই সময় নাজমুল সামনে পড়ে যায় পরে ওই মন্ডের চাপা পড়ে গুরুত্বর আহত হন।

পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে  স্থানীয় একটি হাসপাতাল ওইখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দ্বেবিদার উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের সন্তান। বর্তমানে সে বসুন্ধরা পেপার মিলেই থাকতেন। নিহত এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিল।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

২৬ বার ছুরিকাঘাতে ফিলিস্তিনি-মার্কিন শিশুকে হত্যা করা ব্যক্তির ৫৩ বছরের কারাদণ্ড

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৬ বছরের এক মার্কিন শিশুকে হত্যার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে ৫৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জোসেফ জুবা, বয়স ৭৩ বছর। ছোট্ট শিশু ওয়াদেয়া আল-ফাউমিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও তার মা হানান শাহিনকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালত জোসেফকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে মুসলিমবিদ্বেষ ০২ এপ্রিল ২০২৪

জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর শাহিন এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ। আদালত এ ঘটনাকে মুসলিমবিদ্বেষ থেকে ঘৃণাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।

হানান শাহিন ও তাঁর ছেলে ওয়াদেয়া জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর হানান এবং তাঁর ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ।

খাঁজকাটা প্রান্তের একটি সামরিক ছুরি দিয়ে ওয়াদেয়াকে ২৬ বার আঘাত করেছিলেন জোসেফ। ময়নাতদন্তের সময় ওয়াদেয়ার পেট থেকে ছুরির ৬ ইঞ্চি লম্বা ফলা বের করা হয়।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হানান শাহিন ও জোসেফের স্ত্রী (বর্তমানে সাবেক) মেরি আদালতকে বলেছেন, গাজার সংঘাত নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠার পর জোসেফ মুসলিম পরিবারটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনমুসলিমদের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প?০৯ মার্চ ২০২৫

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০২৩ সালে জোসেফ জোর করে শাহিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ওই নারী কোনোমতে দৌড়ে শৌচাগারে ঢুকে দরজা আটকে পুলিশকে ফোন দেন। সে সময়ে জোসেফ ৬ বছরের ওয়াদেয়াকে আক্রমণ করেন।

খুন হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে নিজের ষষ্ঠ জন্মদিন উদ্‌যাপন করে ছোট্ট ওয়াদেয়া আল-ফাউমি

সম্পর্কিত নিবন্ধ