সদর দপ্তরের সামনে সাবেক বিজিবি সদস্যদের বিক্ষোভ
Published: 27th, February 2025 GMT
চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দাবিতে বিজিবির সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন সাবেক বিজিবি সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর জিগাতলায় বিজিবির সদর দপ্তরের ৪ নম্বর ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
২০১২ থেকে ২০২৪ সালে চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্যদের তিন দাবি হলো:
১.
২. যদি কোনো বিজিবি সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাকে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।
৩. যে আইনি কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় শত শত বিজিবি সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, সেই বিচারব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সাবেক বিজিবি সদস্য রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “আমরা বিগত (আওয়ামী লীগ) সরকারের আমলে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত হয়েছি। আমাদের তিন দফা দাবি পূরণ করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমার দীর্ঘ দুই ঘণ্টা এখানে অবস্থান করলেও বর্তমান বিজিবির মহাপরিচালক আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি। আমরা চাই, তিনি এখানে এসে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।”
ঢাকা/রায়হান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর চ য ত সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতা চান প্রিন্স হ্যারি
রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন প্রিন্স হ্যারি। যুক্তরাজ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ে হারের পর বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডিউক অব সাসেক্স হেনরি চার্লস আলবার্ট ডেভিড এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন। আবেগঘন ওই সাক্ষাৎকারে বাবা রাজা চার্লসের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।
হ্যারি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত এইসব কারণে বাবা (চার্লস) তার সঙ্গে কথা বলবেন না। কিন্তু তিনি আর লড়তে চান না। তাছাড়া, বাবা কতদিন বাঁচবেন তাও তিনি জানেন না।
১৫ মাস আগে যুক্তরাজ্যের রাজা চার্লসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। কিছুদিন আগে চার্লস ব্যক্তিগত এক বার্তায় তার ক্যান্সারের অভিজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এরপরই বাবাকে নিয়ে ওই কথা বললেন প্রিন্স হ্যারি।
যুক্তরাজ্যে সফরকালে হ্যারি ও তার পরিবারের পুলিশি নিরাপত্তার মাত্রা নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের রায়ে হেরে যান প্রিন্স হ্যারি। শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণা করে লন্ডনের আপিল আদালত।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে স্ত্রী মেগান মার্কেলকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিন্স হ্যারি। এরপর যুক্তরাজ্য সরকার হ্যারিকে আর আগের মতো সরকার-প্রদত্ত নিরাপত্তা না দেওয়া এবং প্রতিটি সফরের ক্ষেত্রে তা আলাদাভাবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রথম মামলায় হারের পর হ্যারি আপিল করেন। তার আইনজীবীদের অভিযোগ ছিল, হ্যারিকে ‘অযৌক্তিক ও কম মানের’ নিরাপত্তা দিয়ে অন্যদের তুলনায় আলাদাভাবে দেখা হয়েছে। কিন্তু আদালত সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে।
সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, হ্যারির নিরাপত্তা কমানোর কারণ হচ্ছে, তার রাজকীয় অবস্থানের পরিবর্তন। তিনি এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরে বাস করেন।
মামলায় পুনরায় পরাজয়ের পর হ্যারি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে চাই। আইনি লড়াই করার আর কোনও মানে হয় না। জীবন মূল্যবান।
তিনি আরও বলেন, আমার পরিবারের কিছু সদস্য ও আমার মধ্যে অনেক মতবিরোধ, মতভেদ আছে। কিন্তু এখন সেগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্ত্রী মেগান এবং সন্তানকে রাজপরিবারে ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব না, সেকথাও বলেছেন হ্যারি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছে তার ফলে পরিবারসহ নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফেরা ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।