নতুন নিয়মের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে প্রথমদিকে কিছু সংশয় থাকলেও, ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটি দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে এসেছে। শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচগুলো প্রমাণ করেছে যে ইউরোপিয়ান ফুটবলের এই মহারণে কোনো জায়গাই নিরাপদ নয়। শেষ ষোলো থেকেই নাটকীয়তার ঝড় বয়ে গেছে, যেখানে লিভারপুল ও অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মতো জায়ান্ট দলগুলো টাইব্রেকারের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বিদায় নিয়েছে।

এবারের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ আটে থাকা চারটি দল বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলোতেই। দল চারটি হলো— লিভারপুল, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার লেভারকুজেন এবং লিল। তবে যারা টিকে আছে, তারা ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত।

কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
বার্সেলোনা বনাম বরুশিয়া ডর্টমুন্ড,  
বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ইন্টার মিলান,  
পিএসজি বনাম অ্যাস্টন ভিলা,
আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ।

আরো পড়ুন:

৯ গোল করে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনাল

৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা

প্রতিটি ম্যাচই একেকটি ফুটবল ক্লাসিক। তবে বায়ার্ন বনাম ইন্টার এবং আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে।

পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নাকি নতুন অধ্যায়ের শুরু?

বায়ার্ন মিউনিখ বনাম ইন্টার মিলান:  
২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই ইউরোপীয় পাওয়ারহাউস। সেই ফাইনালে হোসে মরিনহোর ইন্টার ২-০ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্নকে। এবার কি বায়ার্ন সেই পুরনো হারের প্রতিশোধ নিতে পারবে?  

আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ:
২০০৫-০৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোতে রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করেছিল আর্সেনাল। এবার কি গানাররা একই কীর্তি গড়তে পারবে, নাকি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল তাদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখবে?

বার্সেলোনা বনাম বরুশিয়া ডর্টমুন্ড:
ডর্টমুন্ড বর্তমান চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্যতম ফাইটিং দল, তবে বার্সেলোনার অভিজ্ঞতা ও স্কোয়াডের গভীরতা তাদের ফেভারিট করে তুলেছে। নিঃসন্দেহে এই ম্যাচও বেশ উত্তাপ ছড়াবে এই রাউন্ডে।

পিএসজি বনাম অ্যাস্টন ভিলা:
অ্যাস্টন ভিলা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তুলনামূলক নতুন প্রতিযোগী হলেও তাদের পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছে অনেককে। পিএসজির তারকা-সমৃদ্ধ দল কি ভিলার আক্রমণ সামলাতে পারবে শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ের পথে?  

কোয়ার্টার-ফাইনালের সূচি:
প্রথম লেগ: ৮ ও ৯ এপ্রিল,  
ফিরতি লেগ: ১৫ ও ১৬ এপ্রিল।

চারটি মহারণ, আটটি শীর্ষ দল— এখন প্রশ্ন, কারা জায়গা করে নেবে সেমিফাইনালে? ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এবার কে হবে বিজয়ী?

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ ক য় র ট র ফ ইন ল অ য স টন ভ ল আর স ন ল ইন ট র ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?

ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।

বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’

ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হামাস থেকে হিজবুল্লাহ: পরাজিত মিত্ররা কি খামেনির পতনের পূর্বাভাস?
  • জামায়াত-এনসিপি নাখোশ
  • সরকার-বিএনপি সমঝোতা অনিশ্চয়তা দূর করবে, আশা ইসলামী আন্দোলনের
  • ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
  • ইউনূস-তারেক বৈঠক ‘টার্নিং পয়েন্টে’, অনিশ্চয়তা কাটছে