সেনাবাহিনীকে রাজনীতির কেন্দ্র বানানো কল্যাণকর হবে না: ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র
Published: 23rd, March 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, সেনাবাহিনীকে রাজনীতির কেন্দ্র বানানো এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততা কারও জন্যই কল্যাণকর হবে না। তারা নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকুক, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোই রাজনীতি করুক।
আজ রোববার গাজীপুর মহানগরে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের মুখপাত্র এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সম্মুখসারির বাহিনী। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পেশাদারত্ব, দক্ষতা ও দেশপ্রেমে পরীক্ষিত বাহিনী। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানেও তার নজির দেশবাসী দেখেছে। ফলে সেনাবাহিনীকে রাজনীতির বিষয় বানানো এবং সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়, এমন কিছু করা দেশের জন্য কল্যাণকর হবে না।
দেশ আক্ষরিক অর্থেই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো সরকার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, দেশে একটা গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নড়বড়ে হয়ে আছে, সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এলোমেলো হয়ে আছে। এই মুহূর্তে সবার কাছ থেকে দায়িত্বশীল, সতর্ক ও বুদ্ধিদীপ্ত আচরণই দেশকে শুভ ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে পারে।
গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, অপরাধীদের বিচারের বিষয়ে জাতি ঐক্যবদ্ধ। তবে বিচারকাজে যে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে মানুষের মধ্যে হতাশা জন্ম নিচ্ছে। তাই বিচারে গতিশীলতা আনতে হবে। দ্রুত সংস্কার শেষ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের গাজীপুর মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম সাইদুর রহমানসহ স্থানীয় নেতারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।