Prothomalo:
2025-05-03@08:30:25 GMT

সকালেই পড়ুন আলোচিত ৫ খবর

Published: 14th, April 2025 GMT

ফাইল ছবি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছবির নেশায় এক রাফিদ জীবনের ইতি

রেল লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের ভিডিও করার সময় উল্টো দিক থেকে আসা আরেক ট্রেনে কাটা পড়ে ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদ নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (৩ এপ্রিল) সকালে তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের আজগবি এলাকার সদাশিবপুর-হাজিপাড়ায় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। 

এরআগে শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে রাফিদ ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোডে রেল লাইন এলাকায় রেল দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার বাবার নাম রেজাউল করিম। নিহত রাফিদ রাজশাহী সরকারি কলেজে স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়তেন বাংলা বিভাগে। তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

নিহতের পরিবার জানায়, চাকরির পরীক্ষা দিতে ঢাকায় গেছিলেন ফটোগ্রাফার ইশতিয়াক আহমেদ রাফিদ। পরীক্ষা শেষে উঠেছিলেন তার খালার বাসায়। শুক্রবার বিকেলে খালাতো ভাই ঢাকার কুর্মিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এসময় রেল লাইনে দাঁড়িয়ে ভিডিও করার সময় অপরদিক থেকে আসা আরেক ট্রেনে কাটাপড়ে রাফিদের মৃত্যু হয়।

রাফিদের খালাত ভাই মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘রাফিদ ভাইয়া টঙ্গী থেকে কমলপুরগামী একটি ট্রেনের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করছিলেন। এমন সময় অন্য লাইনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আরেক ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’’

রাফিদ শিবগঞ্জ মডেল হাইস্কুল থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরে সে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ালেখা সম্পন্ন করেন। পরে তিনি রাজশাহী কলেজে স্নাতকের জন্য ভর্তি হন। শেষ পর্যন্ত সেখানেই অধ্যায়নরত ছিলেন। 

রাফিদের বাবা রেজাউল করিম সরকারি চাকরিজীবী। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অফিসে কর্মরত। চাকরির সুবাদে তারা শিবগঞ্জ পৌরএলাকার দেওয়ান জাইগীর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

ভাড়া বাসার মালিক একেএস রোকন জানান, রাফিদ খুবই ভদ্র-শান্তশিষ্ট স্বভাবের একজন ছেলে। পড়ালেখায় যেমন মেধাবী ছিলেন। তার হাতের তোলা ছবিও খুবই চমৎকার। যে কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নাম বেশ পরিচিত।

শনিবার সকাল ৯টায় রাফিদকে দাফন করা হয় তার গ্রামের বাড়িতে। তার জানাজার নামাজে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত হন। 

জানাজায় নামাজের আগে তার বাবা রেজাউল করিম বলেন, ‘‘আমাদের এই মুহূর্তে ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। এরমাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উত্তম প্রতিদান দিবেন। আমার ছেলেকে ভালোবাসার জন্য তার কলেজ ও স্কুলের স্যারেরা জানাযায় অংশ নিয়েছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমার ছেলের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’’

মেধাবী শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদ রাফিদের মৃত্যুতে উপজেলা প্রশাসনসহ তার সহপাঠীরা শোক জানিয়েছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি ফটোগ্রাফি করতেন। ছবিতুলে বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি পুরস্কৃত হয়েছিলেন। রাফিদ মৃত্যুকালে বাবা-মা, বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ঢাকা/শিয়াম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ