ছবি: সুপ্রিয় চাকমা
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন কর্মচারীরা
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন সচিবালয়ে আন্দোলনরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কর্মসূচির পাশাপাশি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। দাবি আদায়ে প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ, চলবে মঙ্গলবারও
গুম বিষয়ে আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন করবে সরকার: আইন উপদেষ্টা
এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কর্মচারীরা সচিবালয়ে ছয় নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নতুন ভবনের নিচে যান। সেখানে গিয়ে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বরাবর স্মারকলিপি দেন।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর ও মো. নুরুল ইসলাম, কো-মহাসচিব মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সরকারি চাকরি আইন বাতিল চাই এবং ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা চাই। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদের দোসর কর্মকর্তাদের বিদায় করতে হবে।”
তিনি বলেন, “অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে দেশের আটটি বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। শিগগিরই প্রস্তুতি চূড়ান্ত হবে।”
কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, “এ অধ্যাদেশ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার বা বাতিল না হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলন আগের মতো চলবে।”
কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, “আইন উপদেষ্টার নেতৃত্ব গঠিত কমিটি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধনের সুপারিশ করবেন বলে আমরা শুনেছি। কিন্তু আমরা সেটি মেনে নেব না।”
ঈদের ছুটির পর সোমবার (১৬ জুন) ফের আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। সোমবার তারা সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে দুই উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে। এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।
এর আগে গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন হয়। ২৪ মে থেকেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইনটির বিরোধিতা করে এই অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন অবহিত করে তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ