‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্স
Published: 21st, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারে আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডে ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘এ’ থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, গত দুই হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। তাই সোমবার থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।
ঢাকা/এনটি/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এখন অনলাইনেই সব নথি জমা দেওয়া যাবে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এখন থেকে তাদের সব নথি ডিজিটাল উপায়ে তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে জমা দিতে পারবে। আগে কোম্পানিগুলোকে একই নথি হার্ড কপি ও ই-মেইলে একাধিক প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হতো। এখন এক জায়গা থেকেই সব নথি জমা দেওয়া যাবে।
এ জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তাদের স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমে (এসএসএস) রেগুলেটরি সাবমিশন মডিউল ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) অনবোর্ডিং—এ দুটি ফিচার বা সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন এ সেবার উদ্বোধন করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসই জানায়, নতুন রেগুলেটরি সাবমিশন মডিউলের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো আর্থিক প্রতিবেদন, বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত, লভ্যাংশ ঘোষণা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দ্রুততম সময়ে অনলাইনে জমা দিতে পারবে। অন্যদিকে সিএসই অনবোর্ডিং চালু হওয়ায় ডিএসইর সিস্টেমে একবার তথ্য জমা দিলেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে পৌঁছে যাবে। আবার সিএসইতে তথ্য জমা দিলে তা ডিএসইতে চলে আসবে। ফলে দুই এক্সচেঞ্জে আলাদা আলাদা নথি পাঠানোর প্রয়োজন হবে না। এতে সময় বাঁচবে ও কাজের গতি বাড়বে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. সাইফুদ্দিন। তিনি বলেন, ডিএসইর নতুন ডিজিটাল সাবমিশন প্ল্যাটফর্মের উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাজারসংশ্লিষ্ট আর্থিক তথ্যের সহজ, স্বচ্ছ ও মানসম্মত প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। এটি নিয়ন্ত্রক, নিরীক্ষক ও অন্যান্য অংশীজনের তথ্য ব্যবহারের দক্ষতা বাড়াবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এত দিন নথি জমা ও রিপোর্টিংয়ের বড় অংশ ম্যানুয়াল ও হার্ড কপিনির্ভর ছিল। এটি বিনিয়োগের কাজকে ধীর ও জটিল করেছে। এখন সেই অবস্থায় পরিবর্তন আসবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও বাজারসংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা নিজ নিজ অফিস থেকেই অনলাইনে নথিপত্র জমা দিতে পারবেন। পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ডিএসইর ওয়েবসাইটের আধুনিক ল্যান্ডিং পেজ উন্মোচনের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএসইসির প্রধান হিসাবরক্ষক খায়রুল আনাম খান জানান, ইস্যুয়ারদের দাপ্তরিক জটিলতা ও দৌড়াদৌড়ি কমানোই এই ডিজিটালাইজেশনের মূল লক্ষ্য। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেমে আরও ব্যবসায়িক কার্যক্রম যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইনস্যুরেন্স ও ক্যাপিটাল মার্কেট উইংসের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদ কুতুব, স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।