শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার আহ্বান
Published: 3rd, May 2025 GMT
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “শাপলা চত্বরে যতজন নিহত হয়েছেন, তাদের সবার হয়ে গণহত্যার জন্য হাসিনার নামে মামলা করতে হবে। এটা আমার প্রথম দাবি। দ্বিতীয় দাবি, বিশ্বের মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান।
দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক বলেন, “আমি একটা বিষয়ে অবাক হয়ে যাচ্ছি, হেফাজতের পক্ষ থেকে কেন এত দিনেও সেই দানব ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আপনারা কেন এখনো মামলা দায়ের করেনি, আমি জানি না।”
তিনি বলেন, “আজকে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি শাপলা চত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। একইসঙ্গে আমি জুলাই বিপ্লবের শহীদদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যার পর এই প্রথম স্বাধীনভাবে কোনো প্রোগ্রাম করতে পেরেছি।”
“আমরা যেহেতু মুসলমান, তাই গাজা ও ভারতের কাশ্মীরে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালাতে হবে।”
তিনি বলেন, “হেফাজত ইসলাম নারীবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ড.
“আমি মনে করি, আপনাদের দায়িত্ব শুধু সেই সংস্কারগুলো করা, যে সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে না। ড. ইউনূস সরকারের প্রতি দেশের একজন প্রবীণ নাগরিক হিসেবে আমার অনুরোধ, আপনারা অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করবেন না। আমরা দেখেছি, আপনারা অনেকগুলো সংস্কার কমিশন করেছেন, যেগুলোর কোনো প্রয়োজনই ছিল না। আপনারা রাষ্ট্রের সময় এবং সম্পদ নষ্ট করছেন। সুতরাং, আমার অনুরোধ, আপনারা এসব কমিশন বাতিল করে দেন। আমাদের এসব কমিশনের প্রয়োজন নেই।”
আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আলেম-ওলামাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা নারীবাদ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে সরে যাবেন না। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ইসলামের জন্য। তাই, আপনারা এ ছোট বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করবেন ঠিকই, কিন্তু এর পেছনে বেশি সময় দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাবেন না। এজন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা একটু ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আমি মনে করি, বাংলাদেশের আলেমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।”
ঢাকা/রায়হান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণহত য র অন র ধ আম দ র র জন য আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চায় গণ অধিকার পরিষদ
জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এ ছাড়া জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে শর্ত সাপেক্ষে মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনের জন্য করিডর দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ শনিবার ঢাকায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে এক অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে পেশাজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতা–কর্মী গণ অধিকার পরিষদে যোগ দিয়েছেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান ফুল দিয়ে নতুন নেতাদের বরণ করে নিয়েছেন। এ সময় গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি করা হয়। এগুলো হলো গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা, ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় সনদ তৈরি করা (সব দলের স্বাক্ষরসহ) এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রকাশ করা।
দলটির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ও ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। গণ অধিকার পরিষদ কোনো দেশের দালালি মানবে না। গণ অধিকার পরিষদ দেশের জনগণবিরোধী সব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
গণ অধিকারে যোগ দেওয়া এই নেতা–কর্মীদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ৩০ জন নেতা রয়েছেন। এর বাইরে ভাসানী অনুসারী পরিষদের বেশ কিছু নেতা–কর্মীও যোগ দিয়েছেন এই দলে। যোগ দেওয়া অন্যদের মধ্যে প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিরা রয়েছেন।