মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলে। পশ্চিমা দেশগুলোর অনেক শহরে চলে সারা রাত। তবে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যায় অনেক আগে।

ঢাকায় এখন মেট্রোরেল উত্তরা থেকে প্রথম ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। রাতে ওই স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ে ৯টায়।

মতিঝিল থেকে প্রথম ট্রেন চলাচল শুরু হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। আর এই স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ে ৯টা ৪০ মিনিটে। এই ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছায় রাত ১০টা ২০ মিনিটে।

দেখা গেছে, শেষ ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরও ঢাকার রাস্তায় অনেক যাত্রী থাকে। তাদের চলাচল করতে হয় লক্কড়ঝক্কড় বাসে অথবা চড়া ভাড়া দিয়ে অটোরিকশায়। কেউ কেউ ছিনতাইয়ের ভয় নিয়েও ব্যাটারিচালিত রিকশায় দূরের পথে যান। যানজট ও যাত্রীর চাপ কমে যায় মূলত রাত ১১টার পরে। যাত্রীদের কেউ কেউ বলছেন, মেট্রোরেল অন্তত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চালানো উচিত। এতে মানুষ উপকৃত হবে।

ওই নারী আরও বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে রাতে বাসে ওঠা কঠিন। মেট্রোরেলের সময় যদি আরেকটু বাড়ত, তাহলে অনেক সুবিধা হতো।উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল পরীক্ষামূলক চলাচল করে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ