বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বলিউড অভিনেতা ও উপস্থাপক এজাজ খানের বিরুদ্ধে। একই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন ওই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি বিতর্কিত শো ‘হাউস অ্যারেস্ট’ ঘিরে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, ঠিক তখনই এই নতুন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলিউড অঙ্গনে।

অভিনেত্রী জানান, পরিচিত হওয়ার পর এজাজ তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এবং পরবর্তীতে এবাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু বিয়ের কথা তুলতেই এজাজ পিছিয়ে যান। গত ২৫ মার্চ এজাজ খান তার বাসায় যান। সেই সময় তিনি একা ছিলেন। এই সুযোগে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন এজাজ।

ঘটনার পর অভিনেত্রী মুম্বাইয়ের চারকোপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতের দণ্ডবিধির ৬৪, ৬৪ (২)(এম), ৬৯ এবং ৭৪ ধারায় এজাজ খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

এর আগে ২০২১ সালে মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি দুই বছর কারাবন্দি ছিলেন। ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পেলেও বিতর্ক থেকে রেহাই মেলেনি তার।

সম্প্রতি উল্লু অ্যাপে প্রচারিত তার সঞ্চালিত রিয়েলিটি শো ‘হাউস অ্যারেস্ট’ ঘিরেও ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই শো-তে যৌনতায় ভরপুর কনটেন্ট উপস্থাপন করা হচ্ছে, যেখানে প্রতিযোগী জুটিদের নানা ধরনের ‘সেক্স পজিশন’ প্রদর্শন করতে বলা হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি শিব সেনা ও বজরং দলের পক্ষ থেকেও এজাজের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

অবশ্য অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজাজ খান এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে শ্রমিক হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ

বন্দরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সালাউদ্দিন (৩৮) নামে এক স্ট্রিল মিলের শ্রমিককে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শ্রমিক বাদী হয়ে হামলাকারি মা ও সন্ত্রাসী ছেলের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।  এর আগে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টায় বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকার জজ মিয়ার ছেলে সালাউদ্দিন মিয়া তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি সাড়ে ৮ শতাংশ বসত বাড়ি প্রাপ্ত হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ভোগদখলে রয়েছে।

এ নিয়ে একই এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার  স্ত্রী তারেই খালা হালিমা বেগম ও তার সন্ত্রাসী ছেলে মহিউদ্দিনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।

এর ধারাবাহিকতা বুধবার দুপুর ১টায় পাষান্ড খালা হালিমা বেগম হুকুমে তার সন্ত্রাসী ছেলে মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সালাউদ্দিন বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে সালাউদ্দিনকে হত্যার চেষ্টা চালায়।

ওই সময় সালাউদ্দিন মিয়ার বড় খালা ফাতেমা বেগম  বাধা দিলে সন্ত্রাসী ভাগ্নিা মহিউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা ফাতেমা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্য বুকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে নিলাফুলা জখম করে পালিয়ে যায়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ