খুলনায় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সেখানে অভিযান শুরু করে দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা যা চলে বিকেল পর্যন্ত। এ সময় আব্বাস আলী নামে এক দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান শুভ্র বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালের দৌরাত্ম থাকার অভিযোগ শুনছি। সকালে সেবাগ্রহীতা সেজে অফিসে গেলে কয়েকজন দালাল আমাদের কাছে সরাসরি টাকা চান। আমরা দেখতে পাই আনসার সদস্যরাও দালালের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। আমাদের পরিচয় পেয়ে একজন প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। আব্বাস আলী নামে এক দালালকে ধরা হয়েছে। তাকে ১৫ দিনের জেল দিয়েছেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাহ উদ্দিন।

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব আরট এ অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় বছরে ফিরেছেন ৬৭ হাজার নারী অভিবাসী, অনেকেই নিপীড়নের শিকার

বাংলাদেশ থেকে নারীদের বিদেশে যাওয়া বাড়ছে। নানা কারণে অনেক নারী ফিরেও আসছেন। নারী অভিবাসীদের দেশে-বিদেশে সুরক্ষা ও কল্যাণে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এসব কথা বলেছেন সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে ‘নারী অভিবাসীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নে আমরা সবাই এক’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়।

এতে বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, দক্ষ করে না পাঠানোয় বিদেশে গিয়ে নারীরা নির্যাতনের শিকার হন। ফিরে এসেও তাদের সমাজে হেয় হতে হয়। নারীর অভিবাসনকে নিরাপদ ও ফেরার পর সহায়তা দিতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় দশ লাখ নারী এখন বিদেশে আছেন। গত ছয় বছরে ৬৭ হাজারেরও বেশি নারী নানা সংকটে পড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের অনেকেই নিপীড়নের শিকার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, নারীরা বিদেশ থেকে ফিরে এলে মর্যাদার সঙ্গে তাদের বিভিন্ন কাজে যুক্ত করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. সাইফুল হক চৌধুরী বলেন, বিদেশফেরত নারীদের জন্য বিমানবন্দরে সেবা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে সেবার মান বাড়াতে সরকার কাজ করছে। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ডের রেইজ প্রকল্পের পরিচালক ড. এ টি এম মাহবুব-উল-করিম জানান, ‘বিদেশফেরত প্রায় ৩১ হাজার নারীকে সরকার সেবা দিয়েছে। এই কাজ চলমান আছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত ‘ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২)’ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিদেশফেরত বাংলাদেশি নারীদের সহায়তা করতে গড়ে তোলা ব্র্যাকের ‘নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশি উইমেন মাইগ্রেন্টস’-এর চেয়ারপারসন শীপা হাফিজা।

কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শামীম, বাংলাদেশ ফেডারেশন অব উইমেন এন্টারপ্রেনার্সের সভাপতি ড. রুবিনা হোসেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাহনুমা সালাম খান, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট আমরিন জামান আনিশা প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ