গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নারীরা পৌঁছাতে পারেনি: নাজমা মোবারেক
Published: 10th, May 2025 GMT
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বলেছেন, “সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনেক। তবে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। এখনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নারীরা পৌঁছাতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে নারী সাংবাদিকরা কাজ করছেন। কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ থেকে কোনো অবস্থাতেই পিছিয়ে নেই নারীরা।”
শনিবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিশেষ প্রকাশনা ‘কণ্ঠস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
আরো পড়ুন:
খিয়াং নারীর মৃত্যু: দুর্ঘটনা নাকি হত্যা তদন্ত করছে পুলিশ
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তা মেলা
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা বলেন, “নারীদের অধিকার রক্ষায় নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।” নারী দিবসের অনুষ্ঠানে সকল নারীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নারী ও পুরুষ সদস্যদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। নারী অগ্রযাত্রায় আমরা একে অপরের সহযোগী। ডিআরইউর সব সদস্য নারীদের অত্যন্ত সম্মান করেন। এখানে পুরুষ ও নারীদের সমঅধিকার রয়েছে।”
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “নারী ও পুরুষ পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং পরিপূরক। একে অন্যের উন্নয়নের সহযাত্রী। অথচ সমঅধিকারের লড়াইয়ে আজও নারীকে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধু নারী বলে আজও মানুষের অধিকার থকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। নারীকে বাদ দিয়ে সভ্যতার কোনো ধরণের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “নারী পুরুষ একসঙ্গে এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে বিশ্ব। নারী সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ডিআরইউ।” এ বছর নারী সাংবাদিকদের জন্য বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড চালু করার কথাও জানান মাইনুল হাসান সোহেল।
নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ডিআরইউর সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক মো.
অনুষ্ঠানে ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া ও মো. ফারুক আলমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউর অন ষ ঠ ন ড আরইউ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট সন্তোষজনক নয়
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে স্টেক হোল্ডারদের রাখা হয়নি। তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিরঙ্কুশ, সেটা আমরা চাই। গত ১৬ বছর গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে যেন সেটা না হয়।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম সংস্কার: সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও জার্নালিস্ট কমিউনিটি অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, গত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে গণমাধ্যমের ইমেজের ক্ষতি হয়েছে, গণমাধ্যম বিশ্বাষযোগ্যতা হারিয়েছে। এই সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম চতুর্থ স্তম্ভ হতে পারেনি। চতুর্থ স্তম্ভ দাবি করা আগে আমাদের মাথা তুলে দাঁড়াতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য একতাবদ্ধ হতে হবে। আগামীতে যে সরকার আসবে সেই সরকার যদি এই সংস্কার না মানে তাহলে আমরা কী করবো সেই পরিকল্পনা করার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের চেয়াম্যান এম আব্দুল্লাহ বলেন, সংস্কার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে তা নিয়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিচ্ছে না। আমরা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছি। কিন্তু এখানে প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটা চূড়ান্ত হয়ে গেলে সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু তখন আন্দোলন করলে এটা সহসাই পরিবর্তন করা যাবে না। সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ওপর সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ডিআরইউ সহসভাপতি গাজী আনোয়ারের সভাপতিত্বে সেমিনার সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিয়া হোসেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ডেইলি ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, বিএফইউজে’র সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য শহিদুল ইসলাম, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, আসিফ শওকত কল্লোল, বাসসের শেখ দিদারুল আলম প্রমুখ।