অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক বলেছেন, “সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনেক। তবে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে। এখনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় নারীরা পৌঁছাতে পারেনি।” 

তিনি বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে নারী সাংবাদিকরা কাজ করছেন। কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ থেকে কোনো অবস্থাতেই পিছিয়ে নেই নারীরা।”

শনিবার (১০ মে) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বিশেষ প্রকাশনা ‘কণ্ঠস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।    

আরো পড়ুন:

খিয়াং নারীর মৃত্যু: দুর্ঘটনা নাকি হত্যা তদন্ত করছে পুলিশ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তা মেলা

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা বলেন, “নারীদের অধিকার রক্ষায় নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।” নারী দিবসের অনুষ্ঠানে সকল নারীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। 

ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নারী ও পুরুষ সদস্যদের মধ্যে ভেদাভেদ নেই। নারী অগ্রযাত্রায় আমরা একে অপরের সহযোগী। ডিআরইউর সব সদস্য নারীদের অত্যন্ত সম্মান করেন। এখানে পুরুষ ও নারীদের সমঅধিকার রয়েছে।”

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “নারী ও পুরুষ পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং পরিপূরক। একে অন্যের উন্নয়নের সহযাত্রী। অথচ সমঅধিকারের লড়াইয়ে আজও নারীকে নিরন্তর সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধু নারী বলে আজও মানুষের অধিকার থকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। নারীকে বাদ দিয়ে সভ্যতার কোনো ধরণের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়।” 

তিনি বলেন, “নারী পুরুষ একসঙ্গে এগিয়ে গেলে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে বিশ্ব। নারী সাংবাদিকদের কল্যাণে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে ডিআরইউ।” এ বছর নারী সাংবাদিকদের জন্য বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড চালু করার কথাও জানান মাইনুল হাসান সোহেল।

নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ডিআরইউর সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, সাবেক অর্থ সম্পাদক মো.

শফিকুল ইসলাম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আশীষ কুমার দে, সিনিয়র সাংবাদিক খাতুনে জান্নাত কনা, তাসকিনা ইয়াসমিন ও জাহিদা পারভেজ ছন্দা। 

অনুষ্ঠানে ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া ও মো. ফারুক আলমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/এএএম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড আরইউর অন ষ ঠ ন ড আরইউ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাবার নির্বাচনি প্রচারে নেহা শর্মা

বাবার নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা শর্মা। রবিবার (১০ নভেম্বর) বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল। এতে বাবা অজিত শর্মার সঙ্গে রোড শোয়ে অংশ নেন ‘ব্যাড নিউজ’খ্যাত এই অভিনেত্রী।  

নির্বাচনি প্রচারের বেশ কিছু ভিডিও অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে অসংখ্য মানুষ। ছাদখোলা একটি গাড়িতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নেহা ও তার বাবা অজিত শর্মা। মানুষ এতটাই ভিড় জমিয়েছে যে, নেহাকে বহনকারী গাড়িটি কচ্ছপের গতিতে চলছে। নেহা ও তার বাবা উপস্থিত মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। 

আরো পড়ুন:

ভাইয়ের অপেক্ষায় নিদ্রাহীন সেলিনা জেটলি

‘স্ত্রীর চেয়ে নায়িকাদের সঙ্গেই বেশি সময় কাটিয়েছে গোবিন্দ’

মিড ডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনে ভাগলপুর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন অজিত শর্মা। ছাদখোলা জিপ নিয়ে রোডশোয়ে অংশ নেন নেহা শর্মা ও তার বাবা অজিত। এসময় কংগ্রেসের হাজার হাজার সমর্থক পতাকা উড়াতে থাকেন। ‘অজিত শর্মা জিন্দাবাদ’, ‘কংগ্রেস পার্টি জিন্দাবাদ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। বিভিন্ন স্থানে মহিলা ও তরুণ–তরুণীরা নেহাকে ফুল ও মালা দিয়ে স্বাগত জানান।

বাবার জন্য ভোট চেয়ে নেহা শর্মা বলেন, “আমার বাবা ও আপনাদের নেতা শহরের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন। ভাগলপুরের আরো অগ্রগতি প্রাপ্য; অনুগ্রহ করে তাকে আবারো সমর্থন করুন।” 

দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে নেহা বলেন, “ভাগলপুরের মানুষ সবসময় আমার বাবাকে ভালোবাসা ও আশীর্বাদে ভরিয়ে দিয়েছেন। তিনি এই এলাকার সেবায় কোনো ঘাটতি রাখেননি। ভাগলপুরের কন্যা হিসেবে আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি, তাকে আবারো আশীর্বাদ দিন যাতে তিনি জয়ী হন।” 

রোড শোয়ে অংশ নেওয়ার আগে নেহা ও অজিত শর্মা বুধনাথ মন্দিরে পূজা দেন। তাদের শোভাযাত্রা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা—নয়া বাজার, সারাই, নার্গা চক, চম্পা নগর, মেদিনি নগর ও টাটারপুর পেরিয়ে রেলস্টেশনের কাছে গিয়ে শেষ হয়। 

অজিত শর্মা, টানা তৃতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচনের লড়াইয়ে নেমেছেন। তার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির রোহিত পান্ডে। এর আগেও বাবার নির্বাচনি প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন নেহা শর্মা।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ