শেরপুরের উন্নয়নে পাঁচ দফা দাবিতে পাঁচ কিলোমিটার মানববন্ধন
Published: 15th, May 2025 GMT
শেরপুর জেলার উন্নয়নে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে এক ঘণ্টা শহরের খোয়ারপাড় (শাপলা চত্বর) থেকে অষ্টমীতলা (পুলিশ লাইনস মোড়) পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
এই কর্মসূচির আয়োজন করে শেরপুর প্রেসক্লাব। দল-মতনির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। আয়োজকেরা জানান, ১৯৮৪ সালে শেরপুর জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত এখানে দৃশ্যমান বড় কোনো সরকারি উন্নয়ন হয়নি। নেই রেলপথ, মেডিকেল কলেজ, পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা র্যাব-দুদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর।
মানববন্ধনে পাঁচটি মূল দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো, আধুনিক একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, সরকারি মেডিকেল কলেজ বা বিশেষায়িত হাসপাতাল, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে কৃষিপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, শেরপুরকে রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং পর্যটন উন্নয়নে হোটেল, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আ জ ম রেজাউল করিম খান, মহিলা গালর্স কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম মামুনুর রশিদ, জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফ হোসেন, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আউয়াল চৌধুরী,আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুরাদুজ্জামান, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, শেরপুর ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রাজিয়া সামাদ, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক প্রমুখ।
কর্মসূচিতে স্বাগত বক্তব্য দেন শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা। উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের কার্যকরী সভাপতি আবদুর রফিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫