অনলাইনে অভিযোগ করলেই হচ্ছে সমস্যার সমাধান
Published: 15th, May 2025 GMT
সরকারি কোনো অফিসে প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় কোনো কর্মকর্তা খারাপ ব্যবহার করেছেন বা সব কাগজ ঠিক থাকলেও আপনাকে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন? ডাক বিভাগের কেউ পার্সেল চুরি করেছেন বা এলাকায় চুরি–ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে? এমনই নানা ধরনের সমস্যা সম্পর্কে অনলাইনে অভিযোগ জানালেই মিলছে সমাধান। শুনতে বেশ অবাক লাগলেও সরকারের কেন্দ্রীয় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার অনলাইন মাধ্যম জিআরএসে অভিযোগ জমা দিয়ে বা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান মিলছে।
মাধ্যমটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা সাকিফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর ধানমন্ডি লেকে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। আমি জিআরএসে অভিযোগ করেছিলাম। সাত দিনের মধ্যেই সব গেটে পুলিশ বসানো হয়েছিল। এ ছাড়া আমার সন্তানের স্কুলের গেট থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি স্থানে নিয়মিত ময়লা ফেলা হতো। তাই প্রতিদিন সকালে ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়াত ও সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধ্য হয়ে ফুটপাত থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে হতো। এটি শুধু বিরক্তিকর নয়, বিপজ্জনকও ছিল। প্রথমে অভিযোগ করেছিলাম সিটি করপোরেশনে, তারা একবার ময়লা পরিষ্কার করেছিল। কিন্তু সমস্যাটা ছিল স্থায়ী। এরপর জিআরএসে অভিযোগ করার পর সিটি করপোরেশনের উচ্চপর্যায় থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তারা জানতে চায়, কেন একই অভিযোগ বারবার করা হচ্ছে। আমি সব খুলে বলি। এরপর আমার এলাকার জন্য আলাদাভাবে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ করা হয়, যাঁর দায়িত্ব প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে সেই স্থানের ময়লা পরিষ্কার করা।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতাধীন সরকারের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা জিআরএস মূলত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর কর্তৃক প্রদানকৃত সেবা নিশ্চিতকরণের একটি মাধ্যম। জিআরএস ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে যেকোনো ব্যক্তি নিজের অসন্তোষ বা ক্ষোভ জানিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরাও একইভাবে যেকোনো সেবার বিপরীতে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে ধর্মীয়, আদালতে বিচারাধীন, তথ্য অধিকার, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত বিভাগীয় মামলা, আইন বা বিধির আওতায় রিভিউ বা আপিলের সুযোগ রয়েছে, এরূপ বিষয়ে অভিযোগ করা যায় না। জিআরএস মাধ্যমে অভিযোগ জমা হলে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমাধান করে প্রতিবেদন জমা দেয়। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অভিযোগগুলো মনিটরিং করার ফলে সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সুশাসন ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা অধিশাখা বিভাগের যুগ্ম সচিব শাহানারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। জিআরএস সম্পর্কে জানাতে নিয়মিত সেমিনারও আয়োজন করা হয়। মানুষ যাতে সঠিক সেবা পান, সে জন্য আমরা নিয়মিত অভিযোগ মনিটরিং করে থাকি। বর্তমানে প্রতিদিনই মোটামুটি ভালো পরিমাণে অভিযোগ আসছে, যেগুলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে যাচাই–বাছাই করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ জ আরএস সরক র সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
অনলাইনে অভিযোগ করলেই হচ্ছে সমস্যার সমাধান
সরকারি কোনো অফিসে প্রয়োজনীয় কাজ করার সময় কোনো কর্মকর্তা খারাপ ব্যবহার করেছেন বা সব কাগজ ঠিক থাকলেও আপনাকে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন? ডাক বিভাগের কেউ পার্সেল চুরি করেছেন বা এলাকায় চুরি–ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে? এমনই নানা ধরনের সমস্যা সম্পর্কে অনলাইনে অভিযোগ জানালেই মিলছে সমাধান। শুনতে বেশ অবাক লাগলেও সরকারের কেন্দ্রীয় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার অনলাইন মাধ্যম জিআরএসে অভিযোগ জমা দিয়ে বা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান মিলছে।
মাধ্যমটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা সাকিফ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের পর ধানমন্ডি লেকে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। আমি জিআরএসে অভিযোগ করেছিলাম। সাত দিনের মধ্যেই সব গেটে পুলিশ বসানো হয়েছিল। এ ছাড়া আমার সন্তানের স্কুলের গেট থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে একটি স্থানে নিয়মিত ময়লা ফেলা হতো। তাই প্রতিদিন সকালে ভীষণ দুর্গন্ধ ছড়াত ও সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধ্য হয়ে ফুটপাত থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে হতো। এটি শুধু বিরক্তিকর নয়, বিপজ্জনকও ছিল। প্রথমে অভিযোগ করেছিলাম সিটি করপোরেশনে, তারা একবার ময়লা পরিষ্কার করেছিল। কিন্তু সমস্যাটা ছিল স্থায়ী। এরপর জিআরএসে অভিযোগ করার পর সিটি করপোরেশনের উচ্চপর্যায় থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তারা জানতে চায়, কেন একই অভিযোগ বারবার করা হচ্ছে। আমি সব খুলে বলি। এরপর আমার এলাকার জন্য আলাদাভাবে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ করা হয়, যাঁর দায়িত্ব প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে সেই স্থানের ময়লা পরিষ্কার করা।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আওতাধীন সরকারের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা জিআরএস মূলত বিভিন্ন সরকারি দপ্তর কর্তৃক প্রদানকৃত সেবা নিশ্চিতকরণের একটি মাধ্যম। জিআরএস ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে যেকোনো ব্যক্তি নিজের অসন্তোষ বা ক্ষোভ জানিয়ে অভিযোগ করতে পারেন। সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরাও একইভাবে যেকোনো সেবার বিপরীতে তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে ধর্মীয়, আদালতে বিচারাধীন, তথ্য অধিকার, সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত বিভাগীয় মামলা, আইন বা বিধির আওতায় রিভিউ বা আপিলের সুযোগ রয়েছে, এরূপ বিষয়ে অভিযোগ করা যায় না। জিআরএস মাধ্যমে অভিযোগ জমা হলে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সমাধান করে প্রতিবেদন জমা দেয়। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অভিযোগগুলো মনিটরিং করার ফলে সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।
আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সুশাসন ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা অধিশাখা বিভাগের যুগ্ম সচিব শাহানারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। জিআরএস সম্পর্কে জানাতে নিয়মিত সেমিনারও আয়োজন করা হয়। মানুষ যাতে সঠিক সেবা পান, সে জন্য আমরা নিয়মিত অভিযোগ মনিটরিং করে থাকি। বর্তমানে প্রতিদিনই মোটামুটি ভালো পরিমাণে অভিযোগ আসছে, যেগুলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে যাচাই–বাছাই করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’