মুরগির একেকটি বাচ্চায় ১৩ থেকে ৩৫ টাকা লোকসান গুনছেন হ্যাচারিমালিকেরা
Published: 16th, May 2025 GMT
পোলট্রিশিল্পে এগিয়ে থাকা জেলা জয়পুরহাটে এক মাস ধরে এক দিনের মুরগির বাচ্চার দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কমে গেছে। প্রতিটি বাচ্চা দুই থেকে আড়াই গুণ কম দামে বিক্রি হচ্ছে। হ্যাচারিমালিকেরা বলছেন, এতে তাঁরা কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে জয়পুরহাটের পোলট্রিশিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
হ্যাচারিমালিকেরা বলেছেন, এক দিনের মুরগির বাচ্চার দামের এই ধসের পেছনে বেশ কিছু কারণ আছে। কয়েক বছর ধরেই লোকসানে পড়ে ছোট খামারগুলো একে একে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাচ্চার উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা কমে গেছে। এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমের কারণে বাচ্চা মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকায় অনেক খামারি বাচ্চা কিনছেন না।
জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জয়পুরহাটে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হাজারের বেশি মুরগির খামার আছে। এখানে ৫৩টি হ্যাচারি থেকে বছরে প্রায় ৮ কোটি এক দিনের বাচ্চা উৎপাদিত হয়। প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পোলট্রিশিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। এখানেই উদ্ভাবিত হয়েছে সোনালি জাতের মুরগি। এর স্বাদ অনেকটা দেশি মুরগির মাংসের মতো। এ কারণে জেলাজুড়ে বেশির ভাগই সোনালি জাতের মুরগির খামার।
খামারি ও হ্যাচারিমালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে মুরগির খাদ্য ও ওষুধের দাম বেড়েছে। বাজারও অস্থির। এক চালানে লাভ হলেও পরের চালানে বড় ধরনের লোকসান হচ্ছে। আগে যেভাবে খামারিরা বাকিতে বাচ্চা, খাদ্য ও ওষুধ পেতেন, এখন তা মিলছে না। এ কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে মুরগির বাজারে দাম তুলনামূলকভাবে কম। এতে খামারিরা বাচ্চা নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ কারণে হ্যাচারিতে উৎপাদিত এক দিনের বাচ্চার বিক্রি কমে গেছে।
জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে শেফালি মুরগি খামারের বহুতল ভবনে সোনালী জাতের ও লেয়ার জাতের মুরগি পালন করা হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এক দ ন র ম রগ র র ম রগ উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
সংসদে প্রতিনিধিত্ব চান জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরা
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদের উচ্চকক্ষ (প্রস্তাবিত) ও নিম্ন কক্ষে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব চেয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪, জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তাঁরা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভা উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ, আহতসহ বিগত সরকারের আমলে গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। জুলাই অভ্যুত্থানে সাভারে শহীদ হওয়া ইয়ামিনের বাবা মহিউদ্দিন বলেন, শান্তির স্বার্থে শুধু সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে শহীদ পরিবার (জুলাই অভ্যুত্থান) থেকে সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষে ১০ জন প্রতিনিধি মনোনয়নের আশা করেন বলে জানান তিনি।
সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া