শাহরিয়ারের প্রকৃত খুনি খুঁজতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সাদা দলের
Published: 18th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ সময়ের মধ্যে শাহরিয়ার হত্যার প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করতে না পারলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়।
সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘শাহরিয়ার হত্যার পর আমরা একটি আইওয়াশ অ্যারেস্ট দেখেছি, যা আমরা মানতে বাধ্য না। সাম্য হত্যার প্রকৃত হত্যাকারী কে, তা বের করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি। আমরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করা না হয়, তাহলে আমরা আরও জোরালো আন্দোলনে যাব।’
শাহরিয়ার হত্যার মোটিভকে একটি গ্রুপ অন্যদিকে নিয়ে যেতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন মোর্শেদ হাসান খান। শাহরিয়ারকে ‘টার্গেটেড কিলিং’ করা হয়েছে মন্তব্য করে মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘তাঁকে (শাহরিয়ার) যেভাবে আঘাত করা হয়েছে, আমরা সাধারণ লোক সেভাবে আঘাত করতে পারব না। প্রকৃত খুনিকে বের করতে হবে। বিচার করতে হবে।’
আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যার ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে আবার শাহবাগ থানা ঘেরাও২ ঘণ্টা আগেমানববন্ধনে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে আমার যে দায়িত্ব, সেটা পালন করতে পারছি না। একজন বাবার কাছে সন্তানের লাশ অনেক ভারী। একজন শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীর লাশ অনেক ভারী, অনেক বেদনাদায়ক, কষ্টদায়ক। আমার শিক্ষার্থী দুর্বৃত্তের ছুরির আঘাতে মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের এই ক্যাম্পাস নিরাপদ না। নিরাপদ করতে পারছি না।’
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য লুৎফর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন নতুনভাবে শিক্ষার পরিবেশ কায়েম করেছে, তখন পরিকল্পিতভাবে শাহরিয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু বিশ্ববিদালয় নয়, রাষ্ট্রীয়ভাবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। যত দ্রুত সম্ভব দোষী ব্যক্তিদের বিচার করার দাবি জানান।
আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যায় গ্রেপ্তার তিনজন ৬ দিনের রিমান্ডে১৭ মে ২০২৫মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষদের ডিন ছিদ্দিকুর রহমান খান, ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক মহিউদ্দিন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মো.
গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নিহত হন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় গত বুধবার সকালে নিহত শাহরিয়ারের ভাই শরীফুল আলম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। গ্রেপ্তার তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুনশিক্ষার্থী শাহরিয়ার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি১৫ মে ২০২৫আরও পড়ুনশাহরিয়ার হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে হবে: ডিএমপি কমিশনার১৬ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক ত খ ন ক আলট ম ট ম র প রক ত ব র কর রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি
আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল ৫টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আবু সাঈদকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো সব আসামি গ্রেপ্তার হয়নি, যা উদ্বেগের। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে বহিরাগতদের নিয়ে ছাত্রদলের উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন, ক্ষোভ
সাম্যকে নিজ গ্রামে দাফন করা হবে
মানববন্ধনে আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হাসান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এখনো ন্যায়বিচার পাইনি। মামলার কয়েকজন আসামি ধরা পড়লেও মূল হোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। আমরা চাই, দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলো স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত করলে এবং জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসলে আবু সাঈদ হত্যার মতো ঘটনা আর ঘটবে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিচার চাই, নিরাপত্তা চাই। আমার মায়ের মতো যেন আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী