এ কী রকম খরা! মধ্যরাত থেকে উড়ছে ধূলি
ভোরে মরে থাকে বিগত বর্ষার ফুলগুলি
রাতে কেউ এসেছিল, এ সময় কারা আসে
রোজ রাতে কেউ, বাতাসে আকালের গন্ধ ভাসে
রাতভর থেমে থেমে দরজায় টোকা
স্বপ্নে থাকি বিভোর, ফোটাই ফুলথোকা
বারান্দায় ওলাদেবীর ছেনালি, গুহাঘরে মৃত্যুহিম
মড়কের মানচিত্র বাছছে না রাম ও রহিম।
কালবৈশাখীর ঝড়ে ছিঁড়ে–ফেঁসে উড়ে যায়
দৈত্য-দানো–ডাকিনীরা, থাকি সে আশায়।
বনবাসে আঁকি শিশুসদনের ছবি
জানি এত সব রেখা-রং মুছে যাবে সবই।
কত না স্বপ্ন, বহিবে নির্মল হাওয়া
তারপর দলেবলে হইহল্লায় সমুদ্রস্নানে যাওয়া
হায় রে, লু হাওয়ায় স্মৃতিভ্রংশ, ধু ধু চারপাশ
ভুলে থাকি চৈত্র মাস, তবুও ছাড়ে না সর্বনাশ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের সঙ্গে টক্কর দিতে চাইলে বাংলাদেশ টিকবে না: বিজেপি নেতা
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলাদেশ যদি ভারতের বিরুদ্ধে টক্কর দিতে চায় তবে তারা টিকতে পারবে না। ভারত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানির উপর বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর রবিবার সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা যখন পাকিস্তানের উপর কড়াকড়ি আরোপ করতে পারি, তখন বাংলাদেশ আর কী? চারদিক থেকেই ভারত দিয়ে বেষ্টিত বাংলাদেশের আকাশ থেকে জল, ব্যবসা থেকে বাণিজ্য সবকিছুই আমাদের হাতে। তাদের বোঝা উচিত যে তারা যদি ভারতের বিরুদ্ধে যায় তবে তারা টিকতে পারবে না। ”
শনিবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএফটি) জারি করা নির্দেশনায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে দিল্লি। বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র নহাভা শেভা এবং কলকাতা সমুদ্র বন্দর দিয়ে পণ্য আনা যাবে। এছাড়া আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়িতে ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস) এবং ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) থেকে ফলের স্বাদযুক্ত এবং কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, পিভিসি এবং প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য (অনুমোদিত শিল্প উপকরণ ব্যতীত) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ