চুয়াল্লিশে থেমে গেল সংগীতশিল্পী গায়ত্রীর জীবন
Published: 18th, May 2025 GMT
‘ফাগুন’খ্যাত শ্রোতাপ্রিয় ভারতীয় সংগীতশিল্পী গায়ত্রী হাজারিকা মারা গেছেন। শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৪৪ বছর। ইন্ডিয়া টুডে এ খবর প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গায়ত্রী কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। আসামের গোয়াহাটির নেমকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সংগীতশিল্পী।
গত ১৬ মে নেমকেয়ার হাসাপাতালের চিকিৎসক হরিশ বড়ুয়া বলেন, “ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন গায়ত্রী। আমাদের হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তবে গতকাল শারীরিক অবস্থার অবণতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান তিনি। দিনটি আমাদের জন্য বেদনার।”
আরো পড়ুন:
ট্রাম্পকে স্বাগত: নারীর চুল ওড়ানো নৃত্য নিয়ে কী জানেন?
আমতলীতে সেতু ভেঙে খালে, ভোগান্তি
আসামের সাংস্কৃতিক ও সংগীতাঙ্গনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছিলেন গায়ত্রী। তার আবেগভরা কণ্ঠ এবং সমসাময়িক শব্দের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী আসামিয়া সুরের মিশ্রণের অনন্য ক্ষমতার জন্য পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যু রাজ্য এবং বাইরেও ভক্ত-সহশিল্পীদের হৃদয়ে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
তার গাওয়া ‘ঝরা পাতে পাতে ফাগুন নামে’ গানটি মুক্তির পর ভীষণ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। প্লেব্যাক গানের পাশাপাশি লাইভ পারফরম্যান্সের মাধ্যমেও দর্শকদের মন জয় করেন।
১৯৮০ সালে আসামে জন্মগ্রহণ করেন গায়ত্রী হাজারিকা। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাস্ত্ৰীয় সংগীতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশিদের জন্য সহজ হলো কুয়েতের ভিসা
বাংলাদেশিদের জন্য কুয়েতের ভিসা আরো সহজ করা হয়েছে। এখন বিশেষ অনুমতি (লামনা) ছাড়াই কুয়েতে ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য কুয়েতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা জরুরি। কারণ, সতর্কতা ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণই হতে পারে নিরাপদ অভিবাসনের মূল চাবিকাঠি।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশিরা লামনা ছাড়াই কুয়েতের ভিসা পাচ্ছেন। তবে, ভিসা-সংক্রান্ত প্রতারণা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন—দূতাবাসের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, কুয়েত প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিশিষ্টজনেরা।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “যেসব ভিসা আমরা সত্যায়িত করি, সেসব ক্ষেত্রে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দূতাবাসের চুক্তি থাকে। আমরা নিশ্চিত করি যে, বাংলাদেশি কর্মীরা কুয়েতে আসার পর তাদের বেতন, থাকা, চিকিৎসা ও ছুটি সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা যথাযথভাবে থাকবে।”
দালালের মাধ্যমে বিদেশে না গিয়ে দূতাবাস নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেছেন, “দালালদের মাধ্যমে না এসে, দয়া করে সঠিক ও বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা গ্রহণ করুন। এতে প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং কুয়েতে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে।”
ভিসা নিতে যেসব বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন: কুয়েত দূতাবাসের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। দালালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে না। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির তথ্য যাচাই করতে হবে। বেতন, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
ঢাকা/হাসান/রফিক