অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, দমন-পীড়ন বন্ধসহ ৭ দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই কর্মীরা। 

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক সংস্কার চাওয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত চার মাসে চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতি, বদলি, সংযুক্তিসহ হয়রানিমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে। 

তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বোর্ডের অনাগ্রহে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন সমিতির কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে বোর্ড। আন্দোলনের অজুহাতে এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত, অর্ধশতাধিক কর্মীকে বরখাস্ত, স্ট্যান্ড রিলিজপূর্বক সংযুক্ত এবং নিজ জেলা থেকে গড়ে ৪০০-৫০০ কিমি দূরে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া স্মারকলিপির জন্য গণস্বাক্ষর কার্যক্রম চালানোয় সাতজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলা, গ্রেপ্তার ও কারাবন্দির শিকারও হয়েছেন অনেকে। 

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– সমিতির কর্মীদের দমন-পীড়নের জন্য আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ, মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করা এবং  পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করা। 

এদিকে তাদের কর্মসূচিতে আজই এনসিপি শ্রমিক উইং, জুলাই অধিকার পরিষদ, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্য সংহতি জানিয়েছে। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ম দ র র কর ম ম লক ব হয়র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু 

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় গাছ থেকে পড়ে খায়রুল ইসলাম (৫৫) নামে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুধসর গ্রামে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। খায়রুল একই উপজেলার খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মুকাদ্দেস আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, খায়রুল আজ সকালে গাছ কাটার জন্য দুধসর গ্রামের হাজরাতলায় যান। বেলা ১১টার দিকে একটি গাছের ডাল কাটার সময় পা পিছলে তিনি নিচে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক খায়রুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

বরিশালে অপসো ফার্মার ৫০০ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের অভিযোগ

আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে সমাবেশ

দুধসর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান, হাজরাতলায় একটি রেইনট্রি গাছ কাটার সময় খায়রুল নামে এক শ্রমিক গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুত্ব আহত হন। সবাই মিলে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, গাছ থেকে পড়ে এক কাঠ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ