৭ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
Published: 21st, May 2025 GMT
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, দমন-পীড়ন বন্ধসহ ৭ দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির আলোকে বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই কর্মীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক সংস্কার চাওয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত চার মাসে চার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতি, বদলি, সংযুক্তিসহ হয়রানিমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করা হচ্ছে।
তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বোর্ডের অনাগ্রহে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন সমিতির কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে বোর্ড। আন্দোলনের অজুহাতে এখন পর্যন্ত ২৯ জনকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত, অর্ধশতাধিক কর্মীকে বরখাস্ত, স্ট্যান্ড রিলিজপূর্বক সংযুক্ত এবং নিজ জেলা থেকে গড়ে ৪০০-৫০০ কিমি দূরে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া স্মারকলিপির জন্য গণস্বাক্ষর কার্যক্রম চালানোয় সাতজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মামলা, গ্রেপ্তার ও কারাবন্দির শিকারও হয়েছেন অনেকে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো– সমিতির কর্মীদের দমন-পীড়নের জন্য আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ, এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ, মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিত করা, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন, জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করা এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত করা।
এদিকে তাদের কর্মসূচিতে আজই এনসিপি শ্রমিক উইং, জুলাই অধিকার পরিষদ, সার্বভৌমত্ব আন্দোলন ও নাগরিক ঐক্য সংহতি জানিয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ম দ র র কর ম ম লক ব হয়র ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙ্গায় চার গ্রামের সংঘর্ষে আহত ৬০
জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চার গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর গ্রামের সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বরের মধ্যে জমি নিয়ে গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জেরে রবিবার সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
আরো পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ
গোপীনাথপুর গ্রামের দুটি পক্ষের সঙ্গে পরবর্তীতে ছোট হামেরদী, খাড়া কান্দি ও বাইশা খালি গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে যোগ দেন। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটার মতো অস্ত্র ব্যবহার করেন। ইট ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৬০ জন আহত হন। গুরুতরদের ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ হোসেন বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এবং চার গ্রামের লোকজন রণক্ষেত্র তৈরি করায় জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারব।”
ঢাকা/তামিম/মাসুদ