বাংলাদেশের বিপক্ষে অতীতে তিনবার মুখোমুখি হয়ে তিনবারই হেরেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু এবার ইতিহাস বদলে দিয়েছে মরুর দলটি। পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে আমিরাত। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই জয় যে কেবল রেকর্ড নয়, তা বোঝা গেল আমিরাত শিবিরের উচ্ছ্বাসে।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো টেস্ট খেলুড়ে দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল আমিরাত। ২০২১ সালে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিল তারা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশ। মূলত পাকিস্তান সফর পেছানোর কারণে দুই ম্যাচের সিরিজে যুক্ত হয়েছিল বাড়তি একটি ম্যাচ। আর সেটাই যেন কাল হল বাংলাদেশের। বাড়তি ম্যাচের ঘোষণা পাওয়ার পর থেকেই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস কাজ করছিল আমিরাতের খেলোয়াড়দের মধ্যে—এমনটাই জানালেন দলের তরুণ ক্রিকেটার আলিশান শারাফু।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ম্যাচের ঘোষণা আসার পর থেকেই আমরা ড্রেসিং রুমে সিরিজ জয়ের বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম। সবাই খুব উচ্ছ্বসিত ছিল এবং একে এক ম্যাচ ধরে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সবকিছু ঠিক সেভাবেই হয়েছে।’

প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচে টানা হেরে সিরিজ খুইয়েছে লিটন দাসের দল। শেষ ম্যাচে ১৬১ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে আমিরাত।

এই ঐতিহাসিক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে আগে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমরা সত্যি ইতিহাস গড়েছি। এই জয় আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। ভবিষ্যতের পথচলায় এটি অনেক অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসিফ, আলিশান, রাহুল চোপড়া, হায়দার—সবাই অসাধারণ খেলেছে। বিশেষ করে হায়দার তার অভিষেকেই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আমি পুরো দলের পারফরম্যান্সে খুব খুশি।’

ওয়াসিম জানান, তাদের বিশ্বাস ছিল যে তারা শারজাহর কন্ডিশনে যেকোনো লক্ষ্য তাড়া করতে পারবে, ‘আমরা কখনোই আশা হারাইনি। আমাদের দল শারজাহতে খেলতে অভ্যস্ত। তাই আমরা জানতাম, আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রযোজক ও স্টার সিনেপ্লেক্সের সমঝোতা

প্রেক্ষাগৃহের টিকিটের টাকার ন্যায্য বণ্টনের প্রশ্নে সমঝোতায় পৌঁছেছেন সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ও প্রযোজকেরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি শাখায় এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

১৪ মে প্রথম আলোয় ‘এসি রক্ষণাবেক্ষণের নামে “অন্যায্য” বিল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচনার মধ্যে বৈঠক করলেন প্রদর্শক ও প্রযোজকেরা।

স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (বিপণন) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বসে সুরাহা করেছি। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।’

দীর্ঘদিন ধরে টিকিট বিক্রির অর্থের ন্যায্য হিস্যা চেয়ে আসছেন প্রযোজকেরা। তবে কী পরিমাণ অর্থ ভাগাভাগি করা হবে, তা খোলাসা করা হয়নি।

আরও পড়ুনএসি রক্ষণাবেক্ষণের নামে এত বিল১৩ মে ২০২৫

বৈঠকে স্টার সিনেপ্লেক্সের নির্বাহী পরিচালক খালেদ আহমেদ, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, প্রযোজক রেদওয়ান রনি, ‘বরবাদ’ প্রযোজক শাহরিন সুমী, ‘জংলি’ প্রযোজক জাহিদ হাসান, ‘ইনসাফ’ প্রযোজক আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর তোলা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ‘তুফান’, ‘দাগি’র প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল লিখেছেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের স্বার্থে প্রযোজকবৃন্দ ও স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে একমত হয়ে আগামীতে সিনেমা প্রর্দশনীর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

আরও পড়ুনপ্রেক্ষাগৃহ থেকে ন্যায্য হিস্যা চান প্রযোজকেরা১৪ মে ২০২৫

শাকিলের ভাষ্য, ‘চলচ্চিত্রের অগ্রগতিতে এ সিদ্ধান্ত ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে, এ আশাবাদ সবার।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ