শরীয়তপুরে ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদার জার্মান শেফার্ড!
Published: 22nd, May 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার যোগপাট্টা গ্রাম। অবাক হওয়ার মতোই সত্যি এই যে, এই গ্রামে গড়ে ওঠা একটি ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদারের কাজ করছে একটি বিদেশি কুকুর।
ওই গ্রামের খোলা মাঠে সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাঠজুড়ে দেখা মিলবে এক ব্যতিক্রম দৃশ্যের। সারি সারি ভেড়া আর ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে সবুজ ঘাসের মধ্যে। আর এদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এক বিদেশি প্রজাতির কুকুর-জার্মান শেফার্ড।
একা একাই গোটা মাঠের পাহারাদার! চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, শরীর জুড়ে সতর্কতা। কেউ সীমা পেরোলেই ছুটে গিয়ে ফিরিয়ে আনে। রাতে আবার অন্য ভূমিকায়-চোর কিংবা শেয়াল ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারে না। যা দেখে অবাক স্থানীয়রাও।
ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদার জার্মান শেফার্ড
স্থানীয়দের চোখে খামারের এই ব্যতিক্রম দৃশ্য অনেককেই আকৃষ্ট করছে। কেউ দেখছেন কৌতূহল নিয়ে, কেউবা বলছেন এটি গ্রামের গর্ব।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রথমে যখন শুনলাম কুকুর ভেড়া পাহারা দিচ্ছে, বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু এসে দেখে মন ভরে গেল। এমন ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়।’’
আরেক পথচারী রোজিনা খাতুন বলেন, ‘‘কুকুরটা যে এতটা দক্ষ, সেটা নিজের চোখে না দেখলে বুঝতাম না। দিন-রাত পাহারা দিয়ে যায়। খামারটাও খুব সুন্দরভাবে সাজানো।’’
ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদার জার্মান শেফার্ড ও পরিচর্যাকারী নুরুল হক
এই খামারের প্রতিদিনকার দেখাশোনা করেন পরিচর্যাকারী নুরুল হক। তিনিই জানান কুকুর আর ভেড়াগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের কথা। নুরুল হক বলেন, ‘‘আগে রাতে অনেক ভয় পেতাম। চোর, শেয়াল কিছুই বাদ ছিল না। কিন্তু এখন কুকুরটা আসার পর সব সমস্যা দূর হয়েছে। রাতে পাহারা দেয়, সকালে আবার ভেড়াগুলোর সঙ্গে মাঠে ঘোরে। এমনকি ওদের কাউকে আলাদা করে ফেললে কুকুরটা খুঁজে নিয়ে আসে। যেন পরিবারের একজন হয়ে গেছে।’’
এ বিষয়ে খামারি সুমন খান বলেন, ‘‘প্রথমে শখ করে ২০টা ভেড়া আর কিছু ছাগল নিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সমস্যা হলো নিরাপত্তা। তখনই ভাবলাম, বিদেশে তো কুকুর দিয়ে পশু পাহারা দেওয়া হয়-আমরা পারব না কেন? তাই জার্মান শেফার্ড আনি, প্রশিক্ষণ দিই। এখন দেখি, সে একাই ৬-৭ জন লোকের কাজ করে দিচ্ছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘‘ভবিষ্যতে খামারটি আরও বড় করব। আমি চাই, দেশের অন্য খামারিরাও বুঝুক-একটা প্রশিক্ষিত কুকুর কতটা উপকারী হতে পারে। এটা শুধু খরচ বাঁচায় না, শান্তি আর সুরক্ষা-দুটোই নিশ্চিত করে।’’
ঢাকা/আকাশ/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইএমআই-সুবিধায় উচ্চ মূল্যের ইলেকট্রনিক পণ্যগুলো এখন হাতের নাগালে
প্রথম আলো:
রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে কিস্তি বা ইএমআই-সুবিধা কতটা কার্যকর?
তাসনিম হোসেন: আমার মতে, ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে কিস্তি বা ইএমআই-সুবিধা খুব কার্যকর একটি ব্যবস্থা। এর প্রধান কারণ হলো, উচ্চ মূল্যের পণ্য কেনার সময় মোটা অঙ্কের অর্থ পরিশোধের বোঝা থেকে গ্রাহকেরা মুক্তি পান। এই সুবিধায় গ্রাহকেরা সাশ্রয়ীভাবে মাসিক কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যের রেফ্রিজারেটর বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কিনতে সক্ষম হন। ফলে ইএমআই-সুবিধা গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে এবং দাম হাতের নাগালের বাইরে থাকলেও ভালো মানের পণ্য কিনতে পারেন।
প্রথম আলো:গ্রাহকদের জন্য আপনাদের ব্যাংকে এ রকম কী কী সুবিধা রয়েছে?
তাসনিম হোসেন: বিভিন্ন রকম সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ইবিএল জিপ’। এর মাধ্যমে ইবিএলের ক্রেডিটধারীরা রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য, ইবিএলের পার্টনার মার্চেন্ট থেকে মাসিক কিস্তিতে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে মূল্য পরিশোধ করতে পারেন। এ ছাড়া ‘ইবিএল ইজি ক্রেডিট’ নামে আরেকটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে কার্ডধারীরা তাঁদের ক্রেডিট কার্ডের অ্যাভেইলেবল লিমিট থেকে নগদ অর্থ ধার নিতে পারেন এবং সেটি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারেন। এই অতিরিক্ত সুবিধাটি গ্রাহকদের রেফ্রিজারেটরসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার সময় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সেই সঙ্গে আমরা গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাক–সুবিধাও প্রদান করি।
প্রথম আলো:কিস্তিতে রেফ্রিজারেটর কেনার ক্ষেত্রে সুদের হার বা অতিরিক্ত চার্জ কেমন হয়?
তাসনিম হোসেন: রেফ্রিজারেটর বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহক ইএমআই-সুবিধা নিলে ব্যাংক পণ্যের সম্পূর্ণ ক্রয়মূল্যকে সমান অংশে ভাগ করে প্রতি মাসে গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ড বিলে যোগ করে দেয়। এতে গ্রাহক মাসিক কিস্তিতে তাঁর কেনা পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।
প্রথম আলো:ইএমআই-সুবিধা নিতে গ্রাহকদের কী ধরনের কাগজপত্র বা যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন?
তাসনিম হোসেন: ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই-সুবিধা নিতে হলে গ্রাহকদের অবশ্যই একটি অ্যাকটিভ ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে এবং সেই সঙ্গে গ্রাহকের নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের সামর্থ্য থাকতে হবে। এ ছাড়া পণ্য কেনার সময় গ্রাহকের কার্ড এবং কার্ডে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যাভেইলেবল লিমিট নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না; শুধু একটি মার্চেন্ট জিপ ফরম পূরণ করলেই ইএমআই-সুবিধা গ্রহণ করা যায়।
রেফ্রিজারেটরসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনাকাটায় ইবিএল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা কিস্তি-সুবিধার পাশাপাশি পাচ্ছেন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট অথবা নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে ক্যাশব্যাক