শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার যোগপাট্টা গ্রাম। অবাক হওয়ার মতোই সত্যি এই যে,  এই গ্রামে গড়ে ওঠা একটি ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদারের কাজ করছে একটি বিদেশি কুকুর। 

ওই গ্রামের খোলা মাঠে সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মাঠজুড়ে দেখা মিলবে এক ব্যতিক্রম দৃশ্যের। সারি সারি ভেড়া আর ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে সবুজ ঘাসের মধ্যে। আর এদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এক বিদেশি প্রজাতির কুকুর-জার্মান শেফার্ড।

একা একাই গোটা মাঠের পাহারাদার! চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, শরীর জুড়ে সতর্কতা। কেউ সীমা পেরোলেই ছুটে গিয়ে ফিরিয়ে আনে। রাতে আবার অন্য ভূমিকায়-চোর কিংবা শেয়াল ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারে না। যা দেখে অবাক স্থানীয়রাও।

ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদার জার্মান শেফার্ড

স্থানীয়দের চোখে খামারের এই ব্যতিক্রম দৃশ্য অনেককেই আকৃষ্ট করছে। কেউ দেখছেন কৌতূহল নিয়ে, কেউবা বলছেন এটি গ্রামের গর্ব।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রথমে যখন শুনলাম কুকুর ভেড়া পাহারা দিচ্ছে, বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু এসে দেখে মন ভরে গেল। এমন ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে খুব কমই দেখা যায়।’’

আরেক পথচারী রোজিনা খাতুন বলেন, ‘‘কুকুরটা যে এতটা দক্ষ, সেটা নিজের চোখে না দেখলে বুঝতাম না। দিন-রাত পাহারা দিয়ে যায়। খামারটাও খুব সুন্দরভাবে সাজানো।’’

ভেড়া-ছাগলের খামারে পাহারাদার জার্মান শেফার্ড ও পরিচর্যাকারী নুরুল হক

এই খামারের প্রতিদিনকার দেখাশোনা করেন পরিচর্যাকারী নুরুল হক। তিনিই জানান কুকুর আর ভেড়াগুলোর মধ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কের কথা। নুরুল হক বলেন, ‘‘আগে রাতে অনেক ভয় পেতাম। চোর, শেয়াল কিছুই বাদ ছিল না। কিন্তু এখন কুকুরটা আসার পর সব সমস্যা দূর হয়েছে। রাতে পাহারা দেয়, সকালে আবার ভেড়াগুলোর সঙ্গে মাঠে ঘোরে। এমনকি ওদের কাউকে আলাদা করে ফেললে কুকুরটা খুঁজে নিয়ে আসে। যেন পরিবারের একজন হয়ে গেছে।’’

এ বিষয়ে খামারি সুমন খান বলেন, ‘‘প্রথমে শখ করে ২০টা ভেড়া আর কিছু ছাগল নিয়ে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সমস্যা হলো নিরাপত্তা। তখনই ভাবলাম, বিদেশে তো কুকুর দিয়ে পশু পাহারা দেওয়া হয়-আমরা পারব না কেন? তাই জার্মান শেফার্ড আনি, প্রশিক্ষণ দিই। এখন দেখি, সে একাই ৬-৭ জন লোকের কাজ করে দিচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘‘ভবিষ্যতে খামারটি আরও বড় করব। আমি চাই, দেশের অন্য খামারিরাও বুঝুক-একটা প্রশিক্ষিত কুকুর কতটা উপকারী হতে পারে। এটা শুধু খরচ বাঁচায় না, শান্তি আর সুরক্ষা-দুটোই নিশ্চিত করে।’’

ঢাকা/আকাশ/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ