এক যুগ পেরিয়ে আরও পাঁচ বছর। ৬ হাজার ২০০ দিনের দীর্ঘ খরা। অবশেষে টটেনহ্যাম হটস্পার পেল ট্রফি জয়ের স্বাদ। বুধবার (২১ মে) দিবাগত রাতে উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখলো লন্ডনের ক্লাবটি।

নিরপেক্ষ ভেন্যু স্পেনের সান মামেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ইউরোপা লিগ ২০২৪–২৫ মৌসুমের বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনাল। যেখানে নাটকীয়তা, চাপ এবং আবেগের এক অনন্য মিশ্রণে নির্ধারিত হয় ইউরোপা সিংহাসনের নতুন উত্তরাধিকারী।

শেষবার ২০০৮ সালে লিগ কাপ জিতেছিল টটেনহ্যাম। এরপর বহুবার সম্ভাবনার আলো দেখা গেলেও শিরোপার ঘরে কিছুই যোগ হয়নি। ক্লাব বদলেছে কোচ, বদলেছে প্রজন্ম, কিন্তু ট্রফির স্বাদ অধরাই ছিল। সেই অপূর্ণতা মুছে দিলেন ওয়েলশ উইঙ্গার ব্রেনান জনসন।

আরো পড়ুন:

চমক রেখে নেশনস লিগের সেমিফাইনালের দল ঘোষণা ফ্রান্সের

চোখের জলে, উষ্ণ অভ্যর্থনায় ম্যানসিটি ছাড়লেন ডি ব্রুইন

ম্যাচের প্রথমার্ধেই আসে ভাগ্যনির্ধারণী মুহূর্তটি। পাপে মাতার সার-এর ডানপ্রান্ত থেকে বাড়ানো নিচু ক্রসে বল লেগে যায় ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শ’য়ের পায়ে, যা ফাঁকি দেয় ওনানার প্রহরাকে। জনসনের ক্রমাগত চেষ্টার ফলই যেন টটেনহ্যামের জন্য সোনার হরিণ হয়ে ধরা দেয়। এই গোলটি ছিল ইউরোপা ফাইনালের মঞ্চে স্পারসদের ১৬ বছরের প্রথম গোল এবং সবচেয়ে দামি।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই দলের অবস্থান বলছে ফাইনালে তাদের জায়গা পাওয়াই অনেকের কাছে বিস্ময়কর। ইউনাইটেড রয়েছে ১৬তম স্থানে এবং টটেনহ্যাম ১৭তম। এই মৌসুমে লিগে তাদের পারফরম্যান্স হতাশাজনক হলেও ইউরোপা লিগে দুই দলই ছিল উজ্জ্বল।

তবে ফাইনাল ম্যাচে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল না কারও। ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কাজের কাজ হয়নি। হইলুন্ড, শ ও গারনাচোর শটগুলো ব্যর্থ হয় গোলরক্ষক ভিকারিও এবং প্রতিরক্ষায় দুর্দান্ত থাকা মিকি ফন দ্য ফেনের কাছে।

ম্যাচের অন্তিম সময়ে একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। পেদ্রো পোরোর ট্যাকলে লুক শ’ পড়ে গেলে ইউনাইটেড পেনাল্টির দাবি জানায়। কিন্তু রেফারি দৃঢ়ভাবে তা নাকচ করেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে শ’র হেডার দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁচান ভিকারিও। যেটি নিশ্চিত করে টটেনহ্যামের বিজয়।

এই জয়ে টটেনহ্যাম ইউরোপা লিগের ট্রফি জিতল তৃতীয়বারের মতো। এর আগে ১৯৭২ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোপা কাপ (সাবেক নাম) জিতেছিল তারা। এই জয়ের ফলে তারা সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ পেল এবং আগামী আগস্টে উয়েফা সুপার কাপ ফাইনালে পিএসজি অথবা ইন্টার মিলানের বিপক্ষে খেলবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ ইন ল ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক

গত জুনে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন নাজমুল হোসেন। এরপর বাংলাদেশ আর টেস্ট খেলেনি। মাঝে নানা ঘটনাপ্রবাহের পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন নাজমুল, টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে রাজি হয়েছেন তিনি। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, ২০২৫-২০২৭ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চক্রের শেষ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাজমুল।

২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান নাজমুল। এখন পর্যন্ত তিনি ১৪টি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওদেরই মাঠে দুটি টেস্ট জিতেছে। সব মিলিয়ে নাজমুলের নেতৃত্বে ৪ টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, ড্র করেছে ১টি, হেরেছে ৯টি।

গত বছর তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন নাজমুল। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে সময় ভালো না যাওয়ায় এ বছরের শুরুতে সেই সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে নিজেই সরে যান। এরপর গত জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে হুট করেই নাজমুলকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার রেশ ধরে নাজমুল টেস্ট সংস্করণের অধিনায়কত্বও ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’
  • বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে খুন, এরপর...
  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনারের দুটি নতুন ভেরিয়েন্ট বাজারে