প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও শেষ পর্যন্ত লজ্জার হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। এটি আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো সহযোগী সদস্য দেশের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ হার, যার প্রথমটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। তবে এই হারলে জীবনযাত্রার অংশ হিসেবে দেখছেন অধিনায়ক লিটন দাস।

বুধবার (২১ মে) সিরিজের শেষ ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে লিটন বলেন, 'যখন এখানে এসেছি, জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছি। কিন্তু সিরিজ হেরে যাওয়া জীবনেরই অংশ। ক্রিকেট খেলতে নামলে প্রতিপক্ষ ভালো খেলবে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।'

সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে লিটন বলেন, 'আজ ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল হয়েছে আমাদের। আমার মনে হয়, উইকেট ও কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে আমরা এমন কিছু করতে চাইনি। তিন ম্যাচেই টস হেরে পরে ব্যাট করেছি, আর শিশির ছিল সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর।'

তবে প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে ভুল করেননি লিটন, 'আমিরাত খুব ভালো খেলেছে, ভালো বলও করেছে। তারা ব্যাটিংয়ে শিশিরের সুবিধা পেয়েছে, কিন্তু একেবারেই ভড়কে যায়নি। এটাই তাদের বড় শক্তি। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।'

উল্লেখ্য, সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ তোলে ১৬১ রান। জবাবে মাত্র ৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর মাধ্যমে সিরিজ নিশ্চিত করে ২-১ ব্যবধানে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টন দ স

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ