বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বৃত্তি আছে। বৃত্তির কিতাবি নাম ‘জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ’। জাপান ও বিশ্বব্যাংক স্নাতকোত্তরে বৃত্তি নিয়ে বিশ্বের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মেলে এ বৃত্তি পেলে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এ বৃত্তিতে প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা দুটি সময়ে আবেদন করার সুযোগ পান। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-১–এ ও অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-২।

অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-১-এ আবেদন শেষ হয়েছে। অ্যাপ্লিকেশন উইন্ডো-২–এ আবেদন চলছে। নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২০২৪ সালের জুনের দিকে।

২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনগুলো—

জয়েন্ট জাপান ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের আওতায় অষ্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি, ব্রান্ডিজ ইউনির্ভাসিটি, কলম্বিয়া ইউনির্ভাসিটি, স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ইরাসমাস ইউনির্ভাসিটি, হার্ভার্ড ইউনির্ভাসিটি, আইএইচই ডেলফ্ট ইন্সটিউট ফর ওয়াটার এডুকেশন, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, কিও ইউনিভার্সিটি, কেআইটি–রয়েল ট্রপিক্যাল ইন্সটিটিউট, লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সেস, ন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্ট্যাডিজ, সাইতামা ইউনিভার্সিটি, এসওএএস–ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, স্ট্যানফোর্ড ইউনির্ভাসিটি, ইউনির্ভাসিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া–বার্কলে, ইউনির্ভাসিটি ক্লেরমন্ট, ইউনির্ভাসিটি ফেলিক্স, ইউনির্ভাসিটি অব লিডস, ইউনির্ভাসিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনির্ভাসিটি অব টুকুবা, ইউলিয়াম কলেজ—সেন্টার ফর ডেভেলবমেন্ট ইকোনোমিকস, ইয়েল ইউনির্ভাসিটি–স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট, ইয়াকোহামা ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটিতে (২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়) পড়ার সুযোগ মিলবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাংকের তালিকাভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুনব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেবে বৃত্তি, লিখতে হবে ২৫০ শব্দের অনুচ্ছেদ১৮ মে ২০২৫

বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা—

সম্পূর্ণ টিউশন ফি মুক্ত

বিমানে যাতায়াতের খরচ

চিকিৎসা বিমা সুবিধা দেবে

মাসিক উপবৃত্তি দেবে (আবাসন, খাবার ও বই ক্রয়ের ব্যয় বহন করা যাবে)।

ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন র ভ স ট ইউন ভ র স ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে রোডম্যাপ ঘোষণা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ফেনী ও আশপাশের জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ‘ঢাকাস্থ ফেনীবাসী’ নামে একটি নাগরিক সংগঠন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দাবি মানা না হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ও রেলপথ অবরোধ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে অবস্থানেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ঢাকায় বসবাসরত ফেনী জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিগত সরকার ফেনীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে, যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। উপদেষ্টারা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন, কিন্তু কাজে তার প্রমাণ পাওয়া যায় না।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ফেনীবাসী ত্রাণ চায় না, অবিলম্বে বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ব্যবস্থা চায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সরকারের ঘোষণা না এলে ফেনীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের ব্যাপারেও সরকারের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি।

মানববন্ধনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘মিথ্যা আশ্বাস আমরা শুনতে চাই না। আর যেন যখন-তখন বন্যায় না ডোবে, সে ব্যবস্থা চাই।’

সভাপতির বক্তব্যে সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে ফেনীর ছাগলনাইয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দিদারুল আলম মজুমদার বলেন, পানিসম্পদ উপদেষ্টা ও তাঁর মন্ত্রণালয় বন্যা নিয়ন্ত্রণে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।

দিদারুল আলম বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নামে বিপুল অঙ্কের টাকার অপচয় এবং দায়িত্ব অবহেলার জন্য উপদেষ্টা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পদত্যাগ দাবি করছি। অবিলম্বে স্থায়ীভাবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে রোডম্যাপ না হলে অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মানববন্ধন থেকে সাতটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো বন্যা নিয়ন্ত্রণে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, যাতে উজানের পানি এসে ভাটি এলাকার বন্যার কারণ না হয়; ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চলের বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসের রক্ষাকবচ বল্লামুখা বাঁধ ও মুছাপুর ক্লোজার অবিলম্বে পুনর্নির্মাণ; এই এলাকার শহর ও গ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে জলাধার উদ্ধার, পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা তৈরি, নদী খনন ও যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; চব্বিশ সালের বন্যার পরে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত এক হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ এবং সঠিক তথ্য যাচাই করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান; বন্যা উপদ্রব এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনতলা ভবন নির্মাণ, যাতে বন্যার সময় এগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়; পানি উন্নয়ন বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইনের আওতায় এবং ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেওয়া বন্ধ করা।

ফেনী কমিউনিটির মুখপাত্র বুরহান উদ্দিন ফয়সলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) পরিচালক ও দাগনভূঞা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, ফেনী ফোরামের সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসাইন, আইনজীবী জসিম উদ্দিন তালুকদার, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ নাজমুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আজিম উদ্দিন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহ মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মনির উদ্দিন, পরশুরাম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন পলাশ, ফেনী সদর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, শ্রমিক দল নেতা আবদুর রহিম, ফেনী এলিট ক্লাবের সভাপতি ফয়জুল্লাহ নোমানী, মনিপুর স্কুলের শিক্ষক রিয়াজুদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন, ফেনী সোসাইটি উত্তরার সহসাধারণ সম্পাদক এমরানুল হক, সোনালী ব্যাংকের সিবিএ নেতা ইউসুফ আলী, কর্মসংস্থান ব্যাংকের সিবিএ নেতা নাসিরুদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ