আইপিএলের এবারের আসরে শুরুটা দেখে কেউই বুঝে উঠতে পারেনি শেষটা এতটা বেদনাদায়ক হবে দিল্লি ক্যাপিটালসের জন্য। সিজনের শুরুতে যেভাবে দলটি একের পর এক জয় তুলে নিচ্ছিল, তাতে প্লে-অফ নয়, বরং ট্রফির সম্ভাবনাই বড় করে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ক্রিকেটের এই অনিশ্চয়তার খেলায় মে মাসে এসে রীতিমতো ছন্দপতন ঘটে দিল্লির।
প্রথম ছয় ম্যাচের মধ্যে দিল্লির পাঁচটি জয় দর্শকদের আশাবাদী করে তোলে। কিন্তু এরপর যেন একেবারে অন্য এক চিত্র দেখা দিলো দলটির শিবিরে। বাকি সাত ম্যাচে মাত্র একটি জয়। ধারাবাহিক ব্যর্থতার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল বুধবার রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শেষের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। এই ম্যাচে ৫৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় নেয় দিল্লি।
এই ব্যর্থতার সঙ্গে যুক্ত হলো এক অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও। আইপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দল নিজেদের প্রথম চার ম্যাচ জিতে শেষ চারে উঠতে পারেনি। এমন পরিণতির কথা কল্পনাও করেনি দলটির সমর্থকরা।
আরো পড়ুন:
বেশিদূর গেল না বাংলাদেশের ইনিংস, জবাব দিচ্ছে প্রোটিয়ারাও
নাহিদ রানা ‘ট্রমাটাইজড’, যাচ্ছেন না পাকিস্তানে
অন্যদিকে ভিন্ন চিত্র মুম্বাই শিবিরে। তারা এবারের আসরে প্রথম ৯ ম্যাচের ৮টিতেই হেরেছিল। জিতেছিল মাত্র একটি। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা কয়েক ম্যাচ জিতে প্লে-অফের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে। আর বুধবার রাতে দিল্লিকে বিদায় করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা জায়গা করে নেয় শেষ চারে। তাদের আগে গুজরাট টাইটান্স, পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু প্লে-অফ নিশ্চিত করে রেখেছিল।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জোহর বাহরুতে কলস্যুলেট জেনারেল স্থাপন হবে: তৌহিদ হোসেন
কুয়ালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শন করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের (এআরএফ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে তিনি মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সারি ভবনে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানান হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এরপর মিশনের মিলনায়তনে সকলের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই হাইকমিশনের কার্যক্রম নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়।
উপস্থাপনা শেষে হাই কমিশনার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন যেখানে তিনি প্রথমবারের মত কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন পরিদর্শন এবং মিশনের সদস্যদের সাক্ষাৎ প্রদানের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিশনের কর্মকর্তাদের প্রবাসীদের কল্যাণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে পাসপোর্ট বিতরণসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সাথে সংবেদনশীল আচরণ এবং সেবার মান উন্নয়নে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেয়ার জন্য তিনি নির্দেশনা দেন।
প্রবাসীদের সুবিধার্থে কুয়ালালামপুরের বাইরে জোহর বাহরুতে কনস্যুলেট জেনারেল অফিস খোলার বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হয়েছে বলে তিনি জানান। খুব শিগগিরই জোহর বাহরুতে কনস্যুলেট জেনারেল অফিস কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া পেনাং-এ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস খোলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন এবং টিম- স্পিরিট নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
মিশনের নানামুখী কর্মতৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি হাইকমিশনের কার্যক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
ঢাকা/হাসান/এস