শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টাকে ‘অবমাননা’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলের গেট থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে এ পরিবেশনায় অংশ নেন তারা।

সংগীত পরিবেশনার আগে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘আজাদী না গোলামী, আজাদী আজাদী’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। স্লোগান দিতে দিতে আসেন শহীদ মিনারের সামনে।

আরো পড়ুন:

সমাধান না পেয়ে আবারো রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

৩ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ বুধবার সকালে

এর আগে, শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে যখন খবর আসে অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন আন্দোলনকারীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন।

আন্দোলনের বিজয় ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করলে কিছু যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে– ‘জাতীয় সংগীত হবে না’। গান থামাতে ব্যর্থ হয়ে তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয়।

সংগীত পরিবেশনের সময় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই যদি জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হয়, তখন আমাদের এই জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রয়োজন নাই। নতুন জাতীয় সংগীত যতদিন পর্যন্ত না হয়, ততদিন জাতীয় সংগীত অবমাননা করার অর্থ রাষ্ট্রদ্রোহীতা। আমরা কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করব না এবং হতেও দেব না। এই সঙ্গীতকে আমরা জাতীয় সংগীত হিসেবে মানি এবং ধারণ করি। ভবিষ্যতে কেউ যদি জাতীয় সংগীত অবমাননার চেষ্টা করে.

আমরা তাদের প্রতিহত করব।”

ঢাকা/আতিক/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গ ত পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ

অস্ট্রেলিয়ায় ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি অ্যালবানিজ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ২০২৫ সালের ৩ মে সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিশ্চিত করার পর গতকাল মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী ক্যানবেরায় গভর্নর জেনারেল স্যাম মোস্টিনের কাছে তিনি ও তাঁর নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। 

অন্যদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লিবারেল পার্টি দীর্ঘদিনের নেতা পিটার ডাটনকে সরিয়ে প্রথমবারের মতো দলীয়প্রধান হিসেবে একজন নারীকে নির্বাচিত করেছে। তাঁর নাম সুসান লি। তিনি একজন অভিজ্ঞ সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে লিবারেল পার্টি একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপে পুনর্গঠিত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। বিবিসি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ