পাবিপ্রবিতে জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘অবমাননা’র প্রতিবাদ
Published: 13th, May 2025 GMT
শাহবাগে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টাকে ‘অবমাননা’ আখ্যা দিয়ে এর প্রতিবাদে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলের গেট থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে এ পরিবেশনায় অংশ নেন তারা।
সংগীত পরিবেশনার আগে তারা ‘তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘আজাদী না গোলামী, আজাদী আজাদী’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘পিন্ডি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আপোস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। স্লোগান দিতে দিতে আসেন শহীদ মিনারের সামনে।
আরো পড়ুন:
সমাধান না পেয়ে আবারো রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
৩ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের ‘লং মার্চ টু যমুনা’ বুধবার সকালে
এর আগে, শনিবার (১০ মে) রাতে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচিতে যখন খবর আসে অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন আন্দোলনকারীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন।
আন্দোলনের বিজয় ঘোষণার পর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করলে কিছু যুবক চিৎকার করে বলতে থাকে– ‘জাতীয় সংগীত হবে না’। গান থামাতে ব্যর্থ হয়ে তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেয়।
সংগীত পরিবেশনের সময় ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা চাই যদি জাতীয় সংগীত পরিবর্তন হয়, তখন আমাদের এই জাতীয় সংগীত গাওয়ার প্রয়োজন নাই। নতুন জাতীয় সংগীত যতদিন পর্যন্ত না হয়, ততদিন জাতীয় সংগীত অবমাননা করার অর্থ রাষ্ট্রদ্রোহীতা। আমরা কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করব না এবং হতেও দেব না। এই সঙ্গীতকে আমরা জাতীয় সংগীত হিসেবে মানি এবং ধারণ করি। ভবিষ্যতে কেউ যদি জাতীয় সংগীত অবমাননার চেষ্টা করে.
ঢাকা/আতিক/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গ ত পর ব
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায়বিচার হয়েছে, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ: সালাহউদ্দিন আহমদ
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় যে রায় হয়েছে, তাতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই বিচার, এই রায় সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ।
আজ সোমবার রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে আসামিদের অপরাধের তুলনায় এই সাজা যথেষ্ট কম। কিন্তু আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নাই।
আজ বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে কয়েকটি জিনিস প্রমাণিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার যত শক্তিশালী হোক, যত দীর্ঘদিনই রাষ্ট্রক্ষমতা অবৈধভাবে পরিচালিত করুক, ক্ষমতা ভোগ করুক, একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় তাঁদের দাঁড়াতেই হবে।
আরও যেসব মামলা আছে, সেই মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কিন্তু এটা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নয়, সামনের দিনের জন্য একটা উদাহরণ। ভবিষ্যতে যাতে এই রাষ্ট্রে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম না করতে পারে, ফ্যাসিস্ট না হয়ে উঠতে পারে, একনায়কতন্ত্র যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়, তার একটি উদাহরণ। এটা ভবিষ্যতের জন্য একটা শিক্ষা। শুধু অতীতের জন্য বিচার নয়, এটা মনে রাখতে হবে।