রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের মতো আলোচনায় বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (২৫ মে) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনায় শুরু হওয়া প্রথম বৈঠকে ১০টি দলের একজন করে প্রতিনিধি অংশ নেন।

এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বিভিন্ন দলের ৯ নেতার সঙ্গে বসেন সরকারপ্রধান।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক

কোনো দল নয়, জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে ড.

ইউনূসকে এনসিপির আহ্বান

দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আহমেদ আব্দুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, নুরুল হক নূর, মাওলানা মুসা বিন ইজহার এবং মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাযি।

এর আগে বিকালে প্রথম দফার বৈঠকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্য সচিব মজিবুর রহমান ভূঁইয়া (মঞ্জু), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন অংশ নেন।

শনিবার (২৪ মে) বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বিচার-সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানোর যুক্তি আর চলবে না: মঈন খান

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘আগে বিচার ও সংস্কার, তারপর নির্বাচন’ বিএনপি এই কথা আর শুনতে চায় না। শনিবার বেলা ১১টায় রাজশাহীর ভুবন-মোহন পার্কে রাজশাহী মহানগর বিএনপি আয়োজিত নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিতে ফরম বিতরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের মূল দাবি একটাই- জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। বিচার ও সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার যুক্তি আর চলবে না।

তিনি বলেন, সংস্কার ও বিচার চলমান প্রক্রিয়া। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া।

এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতো আচরণ করা থেকে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের আচরণে গণতন্ত্র ও সংযমের ছাপ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব মামুন-অর-রশীদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নজরুল হুদা। এ সময় পুরোনো সদস্যদের নবায়ন এবং নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ড. মঈন খান।

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ