সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কুশখালী সীমান্ত দিয়ে ২৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (২৬ মে) রাতের কোনো এক সময় তাদের বাংলাদেশের ভেতর পাঠানো হয়। পরে তাদের আটক করে বিজিবি।  

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, “ঠেলে দেওয়া ২৩ নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের ২২ জনের বাড়ি কুড়িগ্রম জেলায়। একজনের বাড়ি ঝালকাঠিতে। আটককৃতদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা এলে বুধবার (১৮ মে) তাদের জিম্মায় আটককৃতদের দেওয়া হবে।”

বিজিবি কুশখালী বিওপির কমান্ডার সুবেদার মেজবাহউদ্দীন বলেন, “আটককৃতদের মধ্যে সাতজন নারী ও সাতজন পুরুষ এবং ৯ জন শিশু। সীমান্ত থেকে সকালে উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে কুশখালী বিজিবি ক্যাম্পে হেফাজতে রাখে। পরে তাদের ৩৩ বিজিবি ব্যাটলিয়ানে পাঠানো হয়।”

আরো পড়ুন:

সচিবালয়ে নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি মোতায়েন

সীমান্তগেট খুলে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিল বিএসএফ

বিজিবি সূত্র জানায়, আটককৃতরা জানান, তারা অধিকাংশই ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিভিন্ন ইটভাটায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে কাজ করছিলেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গত ৯ মে ভোরের দিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সুন্দরবনের শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৫ জন বাংলাদেশি এবং তিনজন ভারতীয় নাগরিককে রেখে যায়। তাদের অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে ভারতের গুজরাট রাজ্যে বসবাস করছিলেন। তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ক শখ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদেরকে বাংলাদেশ ভূ-খণ্ড থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোরে বিএসএফ সদস্যরা ওই ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে চারজন নারী, চারজন পুরুষ এবং নয়জন শিশু। 

এদিন বিকেলেই তাদেরকে গোমস্তাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন—কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত জেয়ার ব্যাপারীর ছেলে মফিজুল হক (২৬), তার স্ত্রী মোছা. মনজু বেগম (২২), তাদের সন্তান মোছা. মিতু আক্তার (১৩), মো. বেলাল (৪) ও মরিয়ম (২); একই উপজেলার দাশিয়ারছড়া-বালাটরি এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে শাহাজুল ইসলাম (৪২), তার ছেলে মামুন মিয়া (১৮), মো. মাসুদ (১৩) ও রিদয় ইসলাম (৪); নাগেশ্বরীর এগার মাথা এলাকার মৃত বক্তার আলীর স্ত্রী রফিয়া বেগম (৬০) ও তার মেয়ে ববিতা বেগম (৩৪); গোসাইবাড়ি এলাকার অতুল চন্দ্র বর্মণের ছেলে বুলু চন্দ্র বর্মণ (৪০) ও তার স্ত্রী সুনোতি রানী (৩৪), তাদের সন্তান সুশান্ত চন্দ্র বর্মণ (৮), সুমন চন্দ্র বর্মণ (৬), গোপাল চন্দ্র বর্মণ (৪) ও বুলবুলি চন্দ্র বর্মণ (১৬)।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিরা কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে কাজ করতেন। চলতি বছরের ১৭ মে ভারতের হারিয়ানা প্রদেশ থেকে তাদেরকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। সেখান থেকে ট্রেনযোগে তাদেরকে হাওড়া জেলায় আনা হয়। পরে ২৪ মে ভারতের ৮৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ইটাভাটা ক্যাম্পের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। ইটাভাটা ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা মঙ্গলবার ভোরে ভারতের ওপারের চিলারদাড়া এলাকা হয়ে বিভিষণ সীমান্তের লালমাটিয়া এলাকা দিয়ে ওই ১৭ জনকে ঠেলে পাঠায়। পরে তাদেরকে আটক করে বিজিবি।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুর ইসলাম মাসুম জানিয়েছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার সুবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারা সবাই বাংলাদেশি। দীর্ঘদিন আগে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে অবৈধভাবে গিয়ে ইটের ভাটায় কাজ করতেন তারা। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু আছে।

গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন জানিয়েছেন, বিএসএফ সদস্যরা ১৭ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকৃতির কাছে সব হারানো শাহানাজের অন্য লড়াই
  • হাতে ২০০ টাকা, পানি আর খাবার দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ
  • সীমান্ত পারাপারের অভিযোগে আটক ১২
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে আরও ২৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • সীমান্তগেট খুলে ৫৪ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিল বিএসএফ
  • কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • আসামে অবৈধ বাংলাদেশি সন্দেহে দেড় শতাধিক আটক, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • সীমান্ত দিয়ে আরো ১২১ জনের প্রবেশ, ডাকা হয়েছে স্বজনদের